বুয়েটের অনলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

বুয়েটের অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালা বাস্তবসম্মত নয়
বুয়েটের অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালা বাস্তবসম্মত নয়  © সংগৃহীত

বুয়েটের অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালাকে বাস্তবসম্মত নয় অভিহিত করেছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী। বিশেষ করে দুটি ডিভাইস রেডি রাখার বিষয়টি অনেকের জন্য সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা। অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালায় বলা হয়েছে, একটি ডিভাইস পরীক্ষার খাতা ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ দেখার জন্য ক্যামেরা চালু এবং পরীক্ষার প্রশ্ন ডাউনলোডসহ আনুষাঙ্গিক সবকিছুর জন্য আরেকটি ডিভাইস সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, যে দুটি ডিভাইস চালু রাখার কথা বলা হয়েছে, অনেকেরই সেগুলো কেনার সামর্থ্য নেই। এগুলোর ব্যবস্থা করতে গিয়েও অনেককে ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে উল্লেখ করেন তারা।

বুয়েটের এক শিক্ষার্থী বলেন, যারা গ্রামে আছে তাদের বাসায় প্রায়ই লোডশেডিং হয়। ইন্টারনেটের সমস্যা তো আছেই। ঝড় বৃষ্টির কারণে কারও কারও বাসায় দুই-তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ থাকে না। গত পরীক্ষার সময়েও আমরা দেখেছি অনেকেই বাসা থেকে বাইরে গিয়ে, দোকানে বসে, এমনকি ইউনিয়ন অফিসে বসে পরীক্ষা দিয়েছেন।

অনার্স শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, গতবারের পরীক্ষা আনগ্রেডেড ছিল, যেখানে ৩০ শতাংশ নম্বর। তবুও আমাদের সাবমিশনের সময় ৩০ মিনিট দেওয়া হয়েছিল। অথচ টার্ম ফাইনালের পরীক্ষায় সাবমিশনের সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ মিনিট। টার্ম ফাইনালে একেকজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ পৃষ্ঠা লিখতে হয়। এতোগুলো পাতা ছবি তুলে স্ক্যান করে আপলোড করতেও তো সময় লাগে। গতবারেরটা আনগ্রেডেড পরীক্ষা ছিল। অনেক শিক্ষার্থীই ভোগান্তি সহ্য করে পরীক্ষা দিয়েছে। অনেকে ফেলও করেছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনলাইনে অনুষ্ঠিত টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা এবং 'কন্টিনিউয়াস অ্যাসেসমেন্ট' মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেটার গ্রেড দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের ফলাফল বা গ্রেড নির্ধারণকালে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার জন্য ৭০ শতাংশ নম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহাল থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ