১০ জুলাই ২০২১, ২০:১৭

পর্যায়ক্রমে শাবিপ্রবির সকল শিক্ষার্থীই পাবে করোনা টিকা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আবাসিক শিক্ষার্থীদেরকে টিকা প্রদানের পর পর্যায়ক্রমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সকল শিক্ষার্থীকে এর আওতায় আনা হবে। শনিবার (১০ জুলাই) 'দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস' প্রতিনিধিকে এমনটিই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদেরকে নিজ নিজ নির্বাচন কমিশন অফিসে নির্দিষ্ট সময়ে যোগাযোগ করার জন্য জানিয়ে দেয়া হবে। সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি নাম্বার দেয়া হবে যা দিয়ে তারাও টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন।

করোনা মহামারীতে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিনের এ ছুটিতে অনলাইনে শিক্ষা-কার্যক্রম চলমান থাকলেও এতে নানান অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সরাসরি ক্লাসে ফিরতে ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধনও করেছে শিক্ষার্থীরা। এমন সংকটময় অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অন্যতম পূর্ব শর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভ্যাক্সিন। ফলে শিক্ষা-কার্যক্রম পুনরায় চালুর উদ্দেশ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের ভ্যাক্সিনের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। নির্দেশনা পাওয়ার পর আবাসিক শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) এক হাজার ৯০ জন শিক্ষার্থীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তালিকা অনুযায়ী সেসব শিক্ষার্থীদেরকে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা হবে। ভ্যাক্সিনের জন্য অবশ্যই তাদেরকে সুরক্ষা এ্যাপ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপরই ভ্যাক্সিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত কাউকে ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা হবে না।

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বেলায় উপাচার্য বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষার্থীকেই ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে যারা পূর্বের নোটিশ অনুযায়ী স্ব-স্ব জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং জমা দেওয়ার পরেও তালিকায় যাদের নাম আসেনি তাদের ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে যোগাযোগ করে মেইল এড্রেসে তাদের এনআইডি কপি পাঠাতে হবে। সেখান থেকে ডাটা নিয়ে তালিকা আপডেট করা হবে। 

তবে বর্তমানে সুরক্ষা এ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ্যাপে রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা তখন রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারবে। এছাড়াও ভ্যাক্সিন প্রদানের সময়কাল পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।