বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি যেতে চায় আটকে পড়া ৫শ শিক্ষার্থী
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে নোয়াখালী আটকা পড়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রায় পাঁচ শত শিক্ষার্থী। ঈদ উপলক্ষে নিজ বাড়ি ফিরতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট পরিবহন সুবিধা দেওয়ার দাবী জানিয়েছে তারা।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চালানো এক জরিপে নোয়াখালীতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের এ সংখ্যা জানা যায়। নোবিপ্রবি প্রশাসনের নিকট বাস চেয়ে আবেদন করতে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা ওই জরিপ চালানো হয়।
জরিপ অনুযায়ী, বাড়ি যেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সুবিধা চাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে চট্টগ্রাম- ১২৭, কুমিল্লা- ১১৮, ঢাকা ১০১, ময়মনসিংহ- ৬২, রংপুর- ৫২, নরসিংদী- ৫০, রাজশাহী- ৪০, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩৭, চাঁদপুর- ৩৫, খুলনা- ২৩, সিলেট-২১, বরিশাল- ১৬, লক্ষ্মীপুর- ৩, পাবনা- ১ ও ফেনীর ১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এদিকে, পরিবহন সুবিধা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদন করে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও নিজ এলাকায় পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষার জন্য নোয়াখালীতে অবস্থান করছে তারা। এখন কঠোর লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রংপুর বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা রংপুর বিভাগ থেকে আসা বেশ কিছু শিক্ষার্থী নোয়াখালীতে আছি। আমাদের অনেক দীর্ঘতম জার্নির পথ, এই মুহূর্তে যেতে বহু টাকা গুনতে হবে। যা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অতিরিক্ত। বাড়ি যেতে সহায়তা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছে এই শিক্ষার্থী।
অন্য এক শিক্ষার্থী প্রশাসনের নিকট পরিবহন সুবিধার দাবী জানিয়ে বলেন, আমাদের যাতায়াত কষ্ট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা কামনা করি। আমরা মনে করি আমাদের প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব। তারা এ বিষয়েও শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
পরিবহন সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে নোবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, সারাদেশে কঠোর লকডাউনে সব বাস চলাচল বন্ধ। আমাদের শিক্ষকরাও আটকে আছে, তারাও ঢাকায় যেতে পারছে না। এই মুহূর্তে বাস দেওয়া সম্ভব নয়। তবে চলতি লকডাউন উঠে গেলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, আমরা যেহেতু সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই নাই, সেহেতু শিক্ষার্থীদের নোয়াখালী আসার প্রয়োজন ছিল না। তারপরও এ দাবী কতটুকু গ্রহনযোগ্য সেটি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।