১২ জুন ২০২১, ১৬:২৮

লকডাউন বাড়লে পেছাবে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়   © ফাইল ফটো

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলে কিংবা চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পেছানো হতে পারে। একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মুহূর্তে ভর্তি পরীক্ষা পেছানো না পেছানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চান না তারা। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটি পর্যবেক্ষণ করে পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তারা। পরিস্থিতির উন্নতি হলে পূর্ব নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা আয়োজন করতে চায় কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও আর্কিটেকচার বিভাগের ডিন অধ্যাপক খন্দকার সাব্বির আহমেদ শনিবার (১২ জুন) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটি দেখেই ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা এখনই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাই না।

তিনি বলেন, আগামী ৩০ জুন ও এক জুলাই আমাদের প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আর চূড়ান্ত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারন করা আছে ১০ জুলাই। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। তবে চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলে আমাদের পুনরায় পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

খন্দকার সাব্বির আহমেদ আরও বলেন, লকডাউনে সব জেলায় গণপরিবহন চলাচল করবে কিনা সে বিষয়ে আমরা সন্দিহান। এছাড়া এই মুহূর্তে আমাদের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। ফলে সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং লকডাউন বাড়ানো হলে হয়তো আমাদের পরীক্ষা পেছাতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলে চূড়ান্ত করা হবে।

একাডেমিক কাউন্সিলের সভা কবে হবে— জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার। তিনি যখন সভা ডাকবেন তখন মিটিং হবে। চলতি সপ্তাহ শেষে অথবা আগামী সপ্তাহে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কাউন্সিল। ওই বৈঠকের আগে ৯ মে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সভায় পরীক্ষা পেছানোর সুপারিশ করা হয়। ওই বৈঠকে দুই ধরনের সুপারিশ করা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি খারাপ থাকলে জুলাই-আগস্ট আর পরিস্থিতি ভালো হলে জুন-জুলাইয়ে পরীক্ষা আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছিল।