নিবন্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ পাবিপ্রবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে, তদন্তে কমিটি
প্রকাশিত নিবন্ধে (আর্টিকেল) চৌর্যবৃত্তির (প্ল্যাজিয়ারিজম) অভিযোগ উঠেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক দাবি করেছেন, তাঁদের নিবন্ধ থেকে চৌর্যবৃত্তি করেছেন ওই দুই শিক্ষক। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকেরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আওয়াল কবির ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইয়াহিয়া বেপারী। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম রোস্তম আলী বলেন, এ ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, ওই দুই শিক্ষক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি জার্নালে সম্প্রতি একটি নিবন্ধ লেখেন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে। এরপর মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রকিব চৌধুরী ও মাহবুব রহমান অভিযোগ করেছেন, তাঁদের লেখা একটি নিবন্ধ থেকে চৌর্যবৃত্তি করা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ইউজিসির কাছে অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, ২৯ মে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় দুই শিক্ষকের নিবন্ধে চৌর্যবৃত্তির বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এ ঘটনায়। সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। অপর দুই সদস্য হলেন, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম শামীম কায়সার। কমিটি অভিযোগের বিষয়ে যাচাই করবে। তাঁরা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় কী শাস্তি দেওয়া হয়েছে, সে আলোকে সুপারিশ করবেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া বেপারী বলেন, ওই নিবন্ধের সহলেখক তিনি। মূল লেখক আওয়াল কবির। তিনি নিবন্ধের গ্রামাটিক্যাল ও মেথডোলজি বিষয়টি দেখেছেন। তারপরও অভিযোগ পাওয়ায় প্রকাশিত নিবন্ধটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।