৩১ মে ২০২১, ১৩:৫৭

এবার পাবিপ্রবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে গবেষণা চুরির অভিযোগ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ এনে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন, সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আওয়াল কবির জয় এবং অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইয়াহিয়া বেপারি। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের উপরিচালক মো. ফারুক হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশনের অধ্যাপক ড. রকিব চৌধুরী এবং অধ্যাপক ড. মাহবুব সরকার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মেধাসত্ত্ব গবেষণামূলক লেখা চুরির অভিযোগ করেছেন। এরপর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি এডুকেশন জার্নালে প্রকাশিত এই দুই শিক্ষকের গবেষণা আর্টিকেলে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশনের অধ্যাপক ড. রকিব চৌধুরী এবং অধ্যাপক ড. মাহবুব সরকার।

এরপর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত ও পরিবেশ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামীম কায়সার।

তবে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক অধ্যাপক আওয়ার কবির জয় এবং অধ্যাপক ইয়াহিয়া বেপারি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রোস্তম আলী বলেন, একজনের গবেষণামূলক লেখা কপি করে আরেকজনের গবেষক হওয়ার স্বপ্ন দেখা বা নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া চরম অন্যায়। মেধা চুরির অপরাধে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত হলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গবেষণা চুরির অপরাধে তাদের যে শাস্তি পাওয়া দরকার সেটাই পাবে।