২০ মে ২০২১, ০৯:৩২

বিশ্ববিদ্যালয় লাগাতার বন্ধে কান্নাকাটি করছেন অনেক শিক্ষার্থী: শাবিপ্রবি উপাচার্য

শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয় লোগো  © ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা সংকটের শুরু থেকেই বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। থেমে গেছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত। আগামী ২৪ মে থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তা খুলতে পারছেনা শিক্ষামন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চলমান ছুটি বাড়িয়ে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন দেশের লাখো শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সরব শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন লাগাতার বন্ধে বড় ধরণের সেশনজটে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেশনজট কাটিয়ে উঠতে এ বছরের শুরুতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।   

এমন পরিস্থিতিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘গত বছর ৫ এপ্রিল থেকে অনলাইন ক্লাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো বিভাগের হয়তো টিউটোরিয়াল বা মৌখিক পরীক্ষা বাকি ছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব পরীক্ষাও বন্ধ করতে হয়েছে। এ সময় আমরা মৌখিক পরীক্ষাও নিতে পারিনি। কেউ কেউ পরীক্ষা শেষ করে শুধু রেজাল্টের অপেক্ষায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী কান্নাকাটি করছে। তাদের অনেকের পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে গিয়ে সংসারের হাল ধরতে হবে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রথমে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও সংকটের কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এটি নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না যে,  টিকা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। তাছাড়া টিকা দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের হলে তোলাও সম্ভব না।’

আরও দেখুন: বাস্তবতা মেনে বিজ্ঞানসম্মতভাবে এগোতে হবে: ঢাবি উপাচার্য

তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, সম্প্রতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। তবে এর আগে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার (আজ) একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শেষে এরপর আবার শুরু হবে অনলাইনে ক্লাস। যত দিন সরাসরি ক্লাস নেওয়া যাবে না তত দিন অনলাইনেই চালিয়ে নিতে হবে।