সিমাগো বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে নাম নেই হাবিপ্রবির
বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক অবস্থান এই তিন সূচকে দেশ সেরার তালিকায় জায়গা পায়নি বাংলাদেশের দ্বিতীয় এবং উত্তরবঙ্গের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। বিশ্বখ্যাত সিমাগো ইনস্টিটিউট র্যাংকিংয়ের ২০২১ সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সিমাগো ইনস্টিটিউট র্যাংকিংয়ে এবার দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় উঠে এসেছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। সেরাদের মধ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) যথাক্রমে শীর্ষ দুই ও তিন নম্বরে রয়েছে। এবার দেশের শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চার নম্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, পঞ্চম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ৬ষ্ঠ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ৭ম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ৮ম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ৯ম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ১০ম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আইইউবি প্রথম স্থান অধিকার করে সম্মিলিত তালিকায় ১০ম হয়েছে।
এর আগে গত বছরের (২০২০) র্যাংকিংয়ে শীর্ষ তিন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল যথাক্রমে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাংকিংয়ের ২০২১ সংস্করণে বিশ্বসেরা তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল, তৃতীয় চীনের তাসিনগুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।
জানা গেছে, স্পেনভিত্তিক সিমাগো ইনস্টিটিউশনস র্যাংকিং হলো আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে সিমাগো ল্যাব ও বিশ্বের বৃহত্তম বৈজ্ঞানিক প্রকাশক, এলসেভিয়ারের মালিকানাধীন স্কপাসবিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য প্রতি বছর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে হাবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ (ভিসির রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, এটা কোন কোন দিক বিবেচনায় র্যাংকিং হয়েছে সেটা একটা বিষয়। একেক বিশ্ববিদ্যালয় একেক দিক থেকে ভালো করে। আমি দায়িত্বে আসার পরে তাদেরকে কখনো তথ্য নিতে দেখিনি। তাছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটে সব গবেষণা কিংবা কার্যক্রম আপলোড করা হয়নি।
২০২১ সালে সারা বিশ্ব থেকে ৪ হাজার ১২৬টি বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় জায়গা পেয়েছে। স্কপাস ডাটাবেইজে কমপক্ষে ১০০টি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠানকেই এই র্যাংকিংয়ের বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। গবেষণা, উদ্ভাবন এবং সামাজিক প্রভাব- এই তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রতি বছরের এপ্রিল মাসে এ র্যাংকিং প্রকাশ করে তারা। ২০০৯ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে।