০৩ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৫২

গবেষণায় আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাবিপ্রবি শিক্ষক

  © টিডিসি ফটো

‘দি জাপানিজ সোসাইটি অব প্ল্যান্ট ফিজিওলজিস্টের বেষ্ট পেপার এ্যাওয়ার্ড-২০২১’ সম্মাননা পেয়েছেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হাসানুর রহমান (রাজু)।

জাপানের প্ল্যান্ট ও সেল ফিজিওলজি জার্নালে প্রকাশিত ড. মো. হাসানুর রহমানের গবেষণা পত্রের মূল বিষয়বস্তু ছিলো- উদ্ভিদের ভ্রুণ উৎপাদনে প্যারেন্টাল জিনের অবদান। এটি কোষ লেভেলে প্যারেন্টাল জিনের অবদান নিয়ে প্রথম গবেষণা যা উদ্ভিদের ডেভেলপমেন্ট, উৎপাদন বৃদ্ধি, রোগ নিরূপণ এবং প্রজননের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

তার প্রকাশিত এই গবেষণা পত্রটি দি জাপানিজ সোসাইটি অব প্ল্যান্ট ফিজিওলজিস্টের ‘বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড-২০২১ এর জন্য নির্বাচিত হয়। পরবর্তী তাদের অফিসিয়াল পেজ থেকে এই অ্যাওয়ার্ডের সম্মানি হিসাবে একটি সনদপত্র ও দুই লক্ষ জাপানিজ ইয়েন প্রদান করার কথা জানায়।

প্রতিবছর প্ল্যান্ট সেল ও ফিজিওলজির বেষ্ট গবেষণা পত্রকে দি জাপানিজ সোসাইটি অব প্লান্ট ফিজিওলজিস্ট এই সম্মাননা প্রদান করে আসছে।

ড. হাসানুর রহমান ২০১৯ সালে জাপানের টোকিও মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাকাসী ওকামোতোর অধীনে সফলভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

বেষ্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড মনোনীত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এই পুরষ্কার আগামীতে আমাকে আরও ভালো মানের গবেষণা করতে আনুপ্রানিত করবে। এর জন্য আমি দি জাপানিজ সোসাইটি অব প্ল্যান্ট ফিজিওলজিস্ট ও প্রফেসর ড. ওকামোতোর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিয়ে কাজ করছি। এছাড়াও আইভিএফ পদ্ধতিতে জিন সনাক্ত ও কার্যকারিতা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বন্যা/খরা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন বিষয়ে গবেষণা করার ইচ্ছা রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্লান্ট সেল ও ফিজিওলজি জার্নালে ওই গবেষণা পত্রটি ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়। যা যাচাই-বাছাই শেষে ২০২১ সালে এসে বেস্ট অ্যাওয়ার্ড হিসেবে মনোনীত হয়। দি জাপানিজ সোসাইটি অব প্ল্যান্ট ফিজিওলজিস্ট জাপানের বৃহত্তর উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের সংগঠন। সংগঠনটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।