বাধ্যতামূলক ছুটিতে যবিপ্রবির বিতর্কিত সেই কর্মচারী
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিতর্কিত কর্মচারী কে. এম. আরিফুজ্জামান সোহাগকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান কর্মচারী সমিতি কতৃর্ক দাখিলকৃত অভিযোগ ও আইন উপদেষ্টার মতামতের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তকালীন সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী কে. এম. আরিফুজ্জামান সোহাগকে বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে আরিফুজ্জামান সোহাগ যবিপ্রবি কর্মচারী সমিতির ২০১৯-২০ কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্র্তীতে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলে কর্মচারী সমিতির ২০২০-২১ কার্যনির্বাহী পরিষদ। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলায় তার সদস্য পদ আজীবনের জন্য বাতিল করা হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২১ খ্রি. সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সমিতির বর্তমান নেতারা।
লিখিত বক্তব্যে সমিতির নেতারা জানান, যবিপ্রবি কর্মচারী সমিতি দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর গত ৩ নভেম্বর ২০২০ সালে নতুন কমিটির অর্থ হিসাব বুঝে নিতে গিয়ে অসামঞ্জস্যতা পাওয়ায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিলের পর অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। সমস্ত বিষয়াদি, তদন্ত প্রতিবেদন, পারিপার্শ্বিকতা এবং নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিগত কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমিতির নিয়ম বহির্ভূতভাবে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা, অর্থ সংগ্রহ, অর্থ উত্তোলন এবং আয় ব্যয়ের হিসাব না রেখে খেয়াল খুশিমতো কাজ করেছেন।
কর্মচারী সমিতির নেতারা আরো জানান, সাধারণ সম্পাদক পদ অতি গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদ হওয়ায় সাবেক সম্পাদক দায়িত্বে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ এবং কর্মচারীদের কল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণে কাজ করেছেন। আর এটা প্রমাণিত হওয়ায় তার সদস্য পদ আজীবনের জন্য বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং আত্মসাৎকৃত অর্থ সমিতির ব্যাংক হিসাব নম্বরে ফেরত আনার জন্য বর্তমান কর্মচারী সমিতির তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়।