সাইবার সিকিউরিটিতে আমরা পিছিয়ে রয়েছি: যবিপ্রবি উপাচার্য

  © টিডিসি ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক লেনদেন, শিক্ষা প্রদান, প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অনেকটাই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। তবে যে গতিতে ‘ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’ আমরা বৃদ্ধি করেছি, সেই গতিতে সাইবার সিকিউরিটি বৃদ্ধি নিশ্চিত করা যায়নি। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য এটি খুবই জরুরি।

আজ শনিবার (২০ মার্চ) সকালে যশোরের শেখ হাসিনা সফট্ওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সম্মেলন কক্ষে ‘সাইবার সিকিউরিটি ফর নেটওয়ার্কিং প্রফেশনালস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাইবার সিকিউরিটির উপর গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটিতে আমরা যতটা অগ্রসর, সাইবার সিকিউরিটিতে আমরা ততটা পশ্চাৎপদ। যদি আমরা সাইবার জগতকে নিরাপদ না রাখতে পারি, তাহলে এটি যেকোনো সময় আরেকটি মহামারী হিসেবে দেখে দেবে।

দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক ট্রান্স ইউরোশিয়া ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের এশিয়া কানেক্ট প্রকল্পের সহায়তায় চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আয়োজন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম, একাডেমিক কার্যক্রম, প্রশাসনিক কার্যক্রম, বিভিন্ন নিরাপত্তাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু তাদের যদি সাইবার সিকিউরিটি না দিতে পারি, হয়তো একদিন সকালে উঠে দেখা যাবে দেশের পুরো সিস্টেম ভেঙ্গে পড়েছে। দেশ স্থবির হয়ে পড়েছে। সুতরাং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা স্থিতিশীল রাখতে সাইবার সিকিউরিটি বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। সাইবার জগৎকে নিরাপদত রাখতে দেশের নেটওয়ার্ক পেশাজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম এম এ হাসেম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস এম তাওহিদুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিইডিটি প্রকল্পের আইসিটি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের ‘ডিডস’, ‘ম্যালওয়ার’ এবং ‘ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন’ দিয়ে সাইবার আক্রমনের ধরন, কার্যপরিধি, ক্ষতিকারক দিকসমূহ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে নেটওয়ার্ক পেশাজীবীদের দায়-দায়িত্ব ও করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন সাইবার সিকিউরিটিতে দক্ষ বিশেষজ্ঞগণ।

এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিডিরেনসহ বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ৩২ জন নেটওয়ার্ক পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেছেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আয়োজিত কর্মশালাটি শেষ হবে আগামী ২৩ মার্চ।


সর্বশেষ সংবাদ