দেশে তথ্য প্রযুক্তি অ্যাকাডেমি দেবে হুয়াওয়ে
বাংলাদেশে একটি তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এবং ঢাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিলেই বুয়েটে কাজ শুরু করবে ‘হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি অ্যাকাডেমি’।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মূলত এটি হবে একটি বিশেষ ট্রেনিং সেন্টার, যার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবেন পুরো বিশ্বের ১,২০০’র বেশি প্রশিক্ষক। পরিকল্পনা ও চুক্তি অনুযায়ী, বুয়েট ওই অ্যাকাডেমির জন্য জায়গা দেবে, আর হুয়াওয়ে ল্যাবরেটরি তৈরি করে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে অন্য অ্যাকাডেমিগুলোর সাথে যোগসূত্র তৈরি করে দেবে।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি অ্যাকাডেমি’র সার্টিফিকেট পাবে। বাংলাদেশ আগামীতে ৫-জি প্রযুক্তিতে পদার্পন করতে যাচ্ছে, কিন্তু এখাতে দেশটিতে দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি আছে।
তিনি বলেন, বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি সম্বলিত ল্যাব করবে হুয়াওয়ে। ৫-জি ও আধুনিক ল্যাবরেটরির সমন্বয়ে এই অ্যাকাডেমি থেকে স্কিলড জনশক্তি বের হবে, যারা বাংলাদেশের আইসিটি খাতকে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে।
হুয়াওয়ে বলছে, এই অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠিত হবে তাদের অলাভজনক শিক্ষা কর্মসূচির অংশ হিসেবে, এবং দুটি বিষয়কে সামনে রেখে এটি কাজ করবে। এগুলো হলো, তথ্য ও কম্পিউটার প্রযুক্তিখাতের চাহিদা পূরণে ট্রেনিং ও লার্নিং সল্যুশন আর পাশাপাশি আইসিটি খাতের জন্য ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করা।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশের ডিরেক্টর ঝ্যাং চিডি বলেন, ১৯টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ওপর ৮৩টি কোর্স থাকবে, যেগুলোর কোর্স ও সার্টিফিকেশন করবে হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি অ্যাকাডেমি। এই অ্যকাডেমি থেকে তিনটি গ্রেডের সার্টিফিকেট দেয়া হবে- ‘অ্যাসোসিয়েট, প্রফেশনাল এবং এক্সপার্ট’।
ঝ্যাং চিডি বলেন, প্রাথমিকভাবে বছরে বুয়েটের ২৫০ জন শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশ নেবে। তবে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে সারা বিশ্বে এ ধরণের ৯০০ আইসিটি অ্যাকাডেমি করা হবে এবং এর প্রতিটির সাথে আরেকটির যোগসূত্র থাকবে। ফলে অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সুযোগ তৈরি হবে।