পাবিপ্রবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য রােস্তম আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযােগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে করা ওই অভিযােগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযােগী অধ্যাপক আবদুল আলীম বলেন, গত ১৪ নভেম্বর তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযােগটি দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ইউজিসির সচিবকে অভিযােগটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লেখেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মাে. আবু তাহেরকে প্রধান করা হয়েছে।
শিক্ষক আবদুল আলীমের অভিযােগ, তাঁকে আগের উপাচার্যের লােক হিসেবে চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছেন। তাঁর চেয়ার-টেবিলও স্টোররুমে নিয়ে যাওয়া হয় একবার। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের দিয়ে উপাচার্য তাকে লাঞ্ছিত করিয়েছেন। রিজেন্ট বাের্ডের সদস্য থাকা সত্ত্বেও বাের্ড সভায় যােগ দিতে দেননি। তাঁকে পদোন্নতিও দিচ্ছেন না।
একই অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রুস্তম আলীর নিকট ব্যাখ্যা চেয়ে আইনি নোটিশ দেন ওই শিক্ষক। পাবনা জজ কোর্টের আইনজীবী আব্দুল মজিদ মাজেদ এই নোটিশ প্রেরণ করেন। সাত দিনের মধ্যে নোটিশের সদুত্তর না দিলে ভিসির বিরুদ্ধে দশ কোটি টাকার মানহানি মামলা করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ০৫ নভেম্বর সকাল দশটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের ফটকে অবস্থান নেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. আব্দুল আলীম। অবস্থান কর্মসূচিতে ড. আব্দুল আলীম নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম তদন্ত, বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের পাঁচশত কোটি টাকা ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতিসহ আট দফা দাবি তুলে ধরেন।
অভিযোগের বিষয়ে পাবিপ্রবি উপাচার্য রােস্তম আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ওই শিক্ষকের পদোন্নতি না হওয়ার কারণে তিনি ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছেন। সরকারি নির্দেশনাতেই তাঁর পদোন্নতিসহ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলাে নেয়া হয়েছে।