পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত: শাবিপ্রবি উপাচার্য

শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ  © ফাইল ফটো

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত এককভাবে নেওয়া খুব মুশকিল। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো বডি আছে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিণ্ডিকেট রয়েছে। এগুলোর সঙ্গে আলাপ করে বলতে পারবো, কবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে।’ আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করব কী হচ্ছে, সরকারের তরফ থেকে কী ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। স্কুল এবং উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য যে ধরনের নির্দেশনা দেবে, তারপর আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বডির সঙ্গে আলাপ করে পরে সিদ্ধান্ত নেবো। এ মুহূর্তে আমরা কিছু বলতে পারবো না।’

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উপাচার্য পর্যায়ে খুব শিগগিরই আমরা আরেকবার বসব। এমনিতে যারা ফাইন্যান্স দেখবেন, ট্রেজারার যারা আছেন, তারা বসেছিলেন। খুব কাছাকাছি সময়ে আমরা বসে আরো অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেবো, পরীক্ষাটা কত দ্রুত নেওয়া যায়। কত সুন্দরভাবে করা যায়, এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’

উল্লেখ্য, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার সার্বিক পরিস্থিতি দেখে এবং কোভিড-১৯ জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—৪ ফেব্রুয়ারির পরেই প্রথম সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসবো, নাকি আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকের ওপরের দুই ক্লাস, এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শুরুতে ক্লাস করানো হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস করতে স্কুলে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সপ্তাহে ৫-৬ দিন তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে হতে পারে। তাছাড়া অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন করে আসবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব ক্লাস নেওয়া হবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে এখানো কিছু বলা হয়নি। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।