শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকের অসদাচরণ, নিজে বাঁচ মূর্খ কোথাকার!

শাবিপ্রবি প্রধান ফটক
শাবিপ্রবি প্রধান ফটক  © ফাইল ফটো

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সাথে অসদাচরণ ও গালিগালাজ করেছেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ইনায়া ম্যানশনের চতুর্থ তলায় ছাত্রীদের মেসে তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে বহিরাগত এক যুবক। এক ছাত্রী তাকে দেখে ফেলায় সে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে যুবকটি। ভিক্টিম সে ছাত্রী স্বর্ণা (ছদ্মনাম) বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চলমান পরীক্ষার একজন পরীক্ষার্থী।

এ ঘটনায় মানসিকভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থী সে ছাত্রী। এই অবস্থায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের অপর এক ছাত্রী বিভাগীয় প্রধানকে এ ব্যাপারে অবহিত করার জন্য ফোন দেন। তবে বিভাগীয় প্রধান এর উপযুক্ত সমাধান না করে সহযোগী অধ্যাপক মোখলেছুর রহমানের সাথে কথা বলতে বলেন। এসময় ফোনে সে ছাত্রীর সাথে এমন আচরণ করেন তিনি।

পুলিশের কাছে বক্তব্য দেয়াসহ ঘটনাস্থলের অস্থিতিশীল অবস্থা বর্ণনা করে পরীক্ষার সময় পেছানোর আবেদন করলে সহযোগী অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান বলেন, এই মূর্খ তুমি কি আমার স্টুডেন্ট হওয়ার যোগ্য? পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, তুমি পরীক্ষা দিয়ে পরে স্টেটমেন্ট দিবা। তোমাকে কি ঐখানে থাকতে বলেছি? শোন, আমার সাথে তুমি একটাও কথা বলবা না। তুমি যদি বাঁচতে চাও এখনি এসে পরীক্ষায় এটেন্ড করো। না হলে তোমার ড্রপ (কোর্স) হয়ে যাবে। আমরা তোমাকে সেইভ করতে পারবো না।

পরবর্তীতে ফোনে কথা বলা ঐ শিক্ষার্থী ভিক্টিম ছাত্রীর মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তার পরীক্ষা নেয়ার কথা বললে তিনি বলেন, আরে তুই তোর দায়িত্ব পালন কর। স্বর্ণাকে (ছদ্মনাম) তুই ফালাই দিয়া চলে আয়, নিজে বাঁচ মূর্খ কোথাকার।

শিক্ষার্থীকে গালিগালাজ এবং অসদাচরণ করার কারণ জানতে চাইলে সহযোগী অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান এ ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ঐ শিক্ষার্থীদের সাথে এমন আচরণ শোভনীয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইটা তো তুমি নিজেই বুঝতেস। তাদের পরীক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এটি বলা হয়েছে।

তবে শিক্ষকের এমন আচরণের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ মজুমদার।


সর্বশেষ সংবাদ