শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউট
বিভাগ একীভূতকরণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৫৯ PM , আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৫৯ PM
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সিএসই এবং ইইই বিভাগের সাথে একীভূত হওয়ার দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) এবং ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের ২য় তলায় এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সেতু’র কাছে কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইটিই বিভাগ পরিবর্তন হয়ে যদি ইইই’তে রূপান্তরিত হতে পারে তাহলে আমরা একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই এবং ইইই বিভাগের সঙ্গে একীভূতকরণ হতে পারবো না কেন!”
এ বিষয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা প্রতারণার শিকার। সাবেক উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতারণার মাধ্যমে আমাদেরকে আইসিটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়। শুধু প্রতারণা নয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সেমিস্টার রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সম্পূর্ণ করানো হয় এবং পরীক্ষাসহ অন্যান্য কোন জায়গায় ইনস্টিটিউটের নাম উল্লেখ ছিল না। তাহলে কিভাবে আমরা আলাদা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীর অন্তর্ভুক্ত হই! এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী হয়েও ল্যাব সহ অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে আমরা বৈষম্যর শিকার।”
তিনি আরো বলেন, “এ নিয়ে আমরা পূর্বে একবার আন্দোলনে যাওয়ায় প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলো যে ইন্সটিটিউট বন্ধ করে আমাদের স্ব স্ব ডিপার্টমেন্টে সংযুক্ত করানো হবে। কিন্তু উপাচার্য স্যার এর কাছে যাওয়ায় ওনি বলেন এটা সম্ভব না। অথচ ইন্সটিটিউটের তিনটি বিভাগের মধ্যে একটিকর শুরুতেই সংযুক্ত করে ফেলেছে।”
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যের খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অদূরদর্শীতায় মাদারিপুরের শিবচরে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে অস্থায়ী ভাবে তৈরি হয় শেখ হাসিনা আইসিটি ইনিস্টিটিউট। যেখানে ইইই এবং সিএসই বিভাগে মোট ৮৬ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়।