বাড়িওয়ালা দ্বারা নির্যাতনের শিকার বশেমুরবিপ্রবি’র দুই ছাত্রী
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রীকে মেস মালিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নবীনবাগ এলাকার খন্দকার মোফাজ্জল হোসেনের বাসায় থাকতেন। গতকাল সন্ধ্যায় বাসা পরিবর্তন করতে গেলে মেস মালিক নাসরিন খন্দকার ও তার কলেজে পড়ুয়া মেয়ে রেশমীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয় তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের এক বছরের বাসা ভাড়ার চুক্তি ছিলো এবং চু্ক্তি অনুযায়ী আর একমাস বাকি ছিলো। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমরা ৯ মাস পর এসে চুক্তি অনুযায়ী অবশিষ্ট এক মাসের ভাড়া পরিশোধ করে বাসা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু বাসা ছেড়ে আসার সময় আমরা বাড়িওয়ালার সাথে শেয়ার করে কেনা জিনিসের অংশের টাকা ফেরত চাইলে বাড়ির মালিকের স্ত্রী নাসরিন খন্দকার গায়ে হাত তোলেন। এ সময় তার মেয়েও আমাদের পিতামাতা ও পরিবার নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করে যা একজন বাড়িওয়ালার কোনোভাবে অধিকার নেই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা নাসরিন খন্দকার নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করেন এবং সেখানে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যান ড্রাইভার শাহিন বলেন, উভয় পক্ষের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাড়িওয়ালা একজন মেয়ের গায়ে ধাক্কা প্রদান করে।
এই ঘটনা সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ইতোমধ্যে বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলেছি। বাড়িওয়ালা শারিরীক নির্যাতনের ব্যাপারে অস্বীকার করেছে, আমরা পরবর্তীতে ঘটনা স্থলে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবো।”