১০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:৪৩

ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে শাবিতে মানববন্ধন

  © টিডিসি ফটো

কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষকদের সংগঠন ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল গণির সভাপতিত্বে এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এবং সিন্ডিকেট সদস্য ড. মস্তাবুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল আউল বিশ্বাস, শাহপরান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলমসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্তত ৩০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন ।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাস্কর্য একটা মীমাংসিত ইস্যু। ভাস্কর্যের সাথে মূর্তির কোন সম্পর্ক নেই। এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ। সারা দুনিয়াতে ভাস্কর্য আছে কিন্তু এমন একটা ইস্যুকে সামনে এনে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে চায়, সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চায় স্বাধীনতাবিরোধীরা।

তিনি আরো বলেন, আজকে যারা ভাস্কর্যের বিপক্ষে কথা বলছে তাদের একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। তারা তো আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ায়নি। পাকিস্তানিদের পা চাটা গোলাম হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল। বাংলাদেশ কীভাবে চলবে তা ১৯৭১ সালে নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই মামুনুলদের এই জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হয় তাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক বিভাজনের নীতি, ধর্মের নামে রাজনৈতিক হীন স্বার্থসিদ্ধির অপকৌশল ও বাঙ্গালি সংস্কৃতিবিরোধী রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপের প্রতিবাদে এ দেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই রাষ্ট্রের মৌলিক দর্শন হলো অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনা। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে মূর্তির সঙ্গে তুলনা করে ও সুকৌশলে জাতির জনকের প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করে একটি গোষ্ঠী রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারুক উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী। একটা বিষয় স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ১৯৭১ সালে আমাদের পূর্বসূরীরা যে যুদ্ধ করে বিজয় এনেছিলেন তা জয় বাংলার স্পিরিটে এসেছে, নারায়ে তাকবির স্লোগানে আসেনি। তাই বাংলাদেশ চলবে জয় বাংলার স্পিরিটে।