অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির দাবি, চক্রান্ত বলছে বশেমুরবিপ্রবি
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর প্রায় আট মাস পর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির দাবিতে অনশনকে অসৎ অভিপ্রায়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে বশেমুরবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মােতাবেক সুষ্ঠভাবে সম্পাদন হওয়ায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম পুনরায় শুরু না করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বশেমুরবিপ্রবি।
আজ রবিবার (২৯ নভেম্বর) বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অপেক্ষমান তালিকা হতে ভর্তি হবার দাবী নিয়ে পূজার সরকারি ছুটি চলাকালীন ৭/৮ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে অনশন শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনশনকারীদের ভর্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য গত ১ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এতে আরো বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে প্রতীয়মান হয় যে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ও শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অত্যন্ত সফলতার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মােতাবেক সুষ্ঠভাবে সম্পাদন হয়েছে। যেহেতু ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করেই ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্পন্ন করেছে, বিধায় পুনরায় শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযােগ নেই।
এছাড়া, ইতিপূর্বে বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্তি ঘােষণার ৮/৯ মাস অর্থাৎ ক্লাস শুরুর হবার ৭/৮ মাস পরে শিক্ষার্থী ভর্তির কোন নজির নেই। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেও দেখা যায় যে, ক্লাস শুরুর বেশিদিন পর শিক্ষার্থী ভর্তি করলে পরে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীবৃন্দ ক্লাসে তাল মেলাতে পারে না এবং পরবর্তীতে খারাপ ফলাফল করে ও হতাশায় ভােগে ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও সমাপনের পরে পুনরায় ভর্তি কার্যক্রম আরম্ভ করার কার্যক্রমে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে এবং এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও এহেন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, যা ক্ৰমান্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও স্বার্থের পরিপন্থী।
এ ধরনের দাবি স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের চক্রান্ত উল্লেখ করে এবং চক্রান্তকারীদের কাছ থেকে সকলকে সাবধান থাকার আহবান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অপেক্ষমাণ তালিকা হতে ভর্তির জন্য এমন দাবী ও অনশনের বিষয়টি নজিরবিহীন ও দুঃখজনক একটি ঘটনা- যা ক্রমান্তরে প্রমাণিত যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য অসৎ অভিপ্রায়ে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত।
আরো বলা হয়েছে, এ ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর পুণ্যভূমিতে তাঁরই নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে ভর্তি বাণিজ্যের আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অশান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের থেকে সংশ্লিষ্টদের সাবধান থাকার আহবান জানানাে হয় বিজ্ঞপ্তিতে।