গবেষকদের সম্মাননা দেবে যবিপ্রবি
দেশের প্রথম কোন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গবেষকদের জন্য গবেষণা অনুদানসহ বিশেষ সম্মাননা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে প্রকাশিত প্রবন্ধের মোট ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর ত্রিশ (৩০) বা তার বেশি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এ বিশেষ বরাদ্দ ও সম্মাননা দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যদি কোন শিক্ষক বা তার গবেষক দল এক বছর সময়কালের মধ্যে প্রকাশনা ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ৩০ তার অধিক অর্জন করে থাকেন, তবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় হতে তাকে বিশেষ গবেষণা অনুদানসহ বিশেষ স্বীকৃতি করা হবে প্রদান করা হবে।
প্রকাশনা ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর বিবেচনার শর্তাবলী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকাশনার Acceptance আবেদনের এক বছরের মধ্যে হতে হবে। আবেদনকারীকে First author/ Corresponding author হতে হবে এবং গবেষণাকর্ম অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পন্ন হতে হবে।
গবেষণা বরাদ্দ ও সম্মাননার জন্য যে শর্ত দেয়া হয়েছে তা নিয়ে অনেকে যেমন সমালোচনা করেছেন আবার অনেকে অভিনন্দন ও জানিয়েছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব জানিয়েছেন, সম্প্রতি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় ফোরাম University Teacher's Association of Bangladesh (UTAB) বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
তিনি জানান, এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে প্রকাশিত প্রবন্ধের মোট ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর ত্রিশ (৩০) বা বেশি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে বিশেষ বরাদ্দ ও সম্মাননার কথা বলা হয়েছে। ফার্স্ট-অথর, করেস্পন্ডিং অথর হওয়ার এবং দেশি অ্যাফিলিয়েশনের কিছু শর্ত আছে। স্বীকার করতেই হবে, গবেষণা বরাদ্দ ও সম্মাননার জন্য যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা এই দেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত কঠিন। সম্ভবত দেশের শতকরা ৯০ ভাগ অধ্যাপকের সারা জীবনে প্রকাশিত প্রবন্ধের সম্মিলিত ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর ৩০ হবে না, সেখানে এক বছর!
তবে বিষয়টির প্রশংশ করেছেন যবিপ্রবির গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফরহাদ বুলবুল। তিনি বলেন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যবিপ্রবি যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এতে করে গবেষণায় সবাই আরও বেশি উৎসাহ পাবে। তবে সব ফ্যাকাল্টির জন্য এটা এক বছরে অর্জন করাটা অনেক কঠিন হবে। ইন্ডেক্সিং নির্ধারণ করে এবং সব ফ্যাকাল্টি যেন অর্জন করতে পারে এমন একটি ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর নির্ধারণ করা হলে সেটা সবার জন্য ভালো হবে।