বিশুদ্ধ পানির সংকটে দুই শ পরিবার, নিরুদ্বেগ কর্তৃপক্ষ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছে কর্মচারীদের দুই শ পরিবার। এ অবস্থায় পয়োনিষ্কাশনের ময়লামিশ্রিত অনিরাপদ পানি পান করছে। এতে পরিবারগুলির অনেক সদস্য বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এ সমস্যা সমাধানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার অবহিত করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, খাবার পানির লাইনের ওপর দিয়ে পয়োনিষ্কাশনের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে খাবার পানির সঙ্গে ময়লা পানি মিশ্রিত হয়।

কর্মচারীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহীদ রফিক-জব্বার হলের পাশে নতুন হল নির্মাণের জন্য সেখানে থাকা ছয় পরিবারকে এই খাবার পানির লাইনের পাশে থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে যে জায়গা দিয়ে পয়ঃনিস্কাশনের পানি প্রবাহিত হতো, তা এখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই ময়লা পানি এখন খাবার পানির লাইনের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মিশ্রিত হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহীদ রফিক-জব্বার হলের পাশে নতুন হল নির্মাণের জন্য সেখানে থাকা ৬টি পরিবারকে এই খাবার পানির লাইনের পাশে থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে যে জায়গা দিয়ে পয়োনিষ্কাশনের পানি প্রবাহিত হত, তা এখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই ময়লা পানি এখন খাবার পানির লাইনের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মিশ্রিত হচ্ছে।

ভুক্তভোগী হালিম মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী একদিন আমাকে পয়োনিষ্কাশনের পানিতে থাকা এক ধরনের পোকা দেখায়। এরপর থেকে আমরা বিকল্প পানি না পেয়ে তা ফুটিয়ে পান করছি।

আরেক ভুক্তভোগী সবুজ মিয়া বলেন, এ পানি পান করে এখন পর্যন্ত অনেকে ডায়রিয়া-কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু কেউই ভয়ে আক্রান্তের কথা বলছেন না। তারা ভাবছেন, করোনা ভেবে যদি তাদের আলাদা থাকতে বলা হয়।

কর্মচারী সবুজ মিয়া বলেন, এ পানি পান করে এখন পর্যন্ত অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু কেউই ভয়ে আক্রান্তের কথা বলছে না। তারা ভাবছে করোনার ভেবে যদি তাদেরকে আলাদা করে দেওয়া হয়।

আরেক ভুক্তভোগী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড মেম্বার বুলু বেগম বলেন, তিনি এর সমাধানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে বলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর সমাধান করতে দিচ্ছে না। নির্মাণাধীন হলের ইঞ্জিনিয়াররা এখানে ঝামেলা করছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘প্রথমে তারা প্রকল্প পরিচালককে বিষয়টি জানালেও আমাকে জানায়নি। পরে আমি বিষয়টি জেনেছি, সরেজমিন প্রদর্শন করেছি। আশা করা যায় আগামী শনিবারের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ