পরীক্ষা নিতে উপাচার্যের কাছে হাবিপ্রবি ছাত্র উপদেষ্টার আবেদন

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  © ফাইল ফটো

করোনার কারণে থেমে আছে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। ফলে ক্রান্তিকালের মধ্যে দিন পার করছেন শিক্ষার্থীরা।বিশেষ করে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। এর জন্য তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ইতোমধ্যে পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মধ্যে মানববন্ধনও করেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা । শিক্ষার্থীদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে তাঁদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখার পরিচালক বরাবর একটি পত্র দিয়েছেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ ।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে যার ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদেরকে ক্ষতি কিছুটা হলেও কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় এ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন পাঠদান শুরু করেছে। করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পূর্বে আমাদের অনেক ব্যাচের ক্লাস কার্যক্রম শেষ হয় এবং তারা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় আবার কোন কোন ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষা চলমান ছিল। ইতিমধ্যে ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ করে লেভেল-৪ সেমিস্টার-২ এবং মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা তাদের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছে।

এ অবস্থায় প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামত গ্রহণ সাপেক্ষে জরুরী ভিত্তিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ করে লেভেল-৪ সেমিস্টার-২ এবং মাস্টার্সে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হল।

এর আগে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা (১৬ তম ব্যাচ) তাঁদের পরীক্ষা গ্রহনের জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার বলেন, ‘‘উপাচার্য মহোদয় যদি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেন তাহলে বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে উঠাতে পারেন। এ সিদ্ধান্ত গুলো একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে’’।

সার্বিক বিষয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম জানান, ‘‘প্রথমত মাথায় রাখতে হবে করোনা পরিস্থিতি জাতীয় ইস্যু। তাড়াহুরা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া একদম উচিত নয়। আমরা ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি। তাছাড়া আমরা চাইলেও যে কোনো সিদ্ধান্ত একক ভাবে নিতে পারি না। শুধু হাবিপ্রবি নয় প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এ সমস্যায় ভুগছে। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভাবতেছে কিভাবে দ্রুত সময়ের মাঝেই উক্ত সমস্যার সমাধান করা যায়। আশা করি দ্রুত সময়ের মাঝে সকল সমস্যার অবসান হবে’’।

উল্লেখ্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহারিক ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি। এছাড়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, আই আই ইউ ,চট্রগ্রামসহ বেশ কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার জন্য রুটিন প্রকাশ করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ