সাবেক নিরাপত্তা প্রহরীর ওপর হামলা, হাসপাতালে ভর্তি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র নিরাপত্তা প্রহরী মো. ফয়েজ উল্লাহ ও তার দুই ভাগ্নের ওপর হামলা করেছে দূর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফয়েজ উল্লাহকে সিলেট এম এ জি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি আহতের ছোট ছেলের।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে সিলেটের বিশ্বনাথ থানার রামপাশা বাজারস্থ তিনভাই রেস্টুরেন্টের ভেতর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ফয়েজ উল্লাহসহ তার ভাগ্নে ছাইদুর রহমান ও সাইফুর রহমান হামলার শিকার হন।
হামলার ঘটনায় গতকাল (২২ অক্টোবর) বিকালে সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা (নং-১৫) দায়ের করেন আহত ফয়েজ উল্লাহর স্ত্রী শামছুন্নাহার বেগম।
এতে বিশ্বনাথ থানার রামপাশা গ্রামের মো. ছায়েদ আলম (৪০) ও রাজা আলম (২৫) সহ ৫/৬ জনকে আসামী (অজ্ঞাতনামা) করা হয়েছে। তারা একই গ্রামের পাশাপাশি মহল্লার বাসিন্দা যারা এলাকাতে অহেতুক লোকজনকে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করে বলে অভিযোগ বাদী পক্ষ অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আহত ফয়েজ উল্লাহর ছোট ছেলে শাকিল আহমেদ বলেন, তারা আমার বাবার প্রাণ নাশের উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে। তারা ধারাল ও ভোতা দেশি (দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা) অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার বাবা রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত হন।
ফয়েজ অভিযোগ করেন, ‘‘এসময় বাবার সাথে থাকা দুই খালাতো ভাইও আহত হয়েছে। এছাড়া তারা রেস্টুরেন্ট থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ও ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের জিনিস ভাঙচুর করে।’’
শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখমের কারণে আহত ফয়েজ উল্লাহকে তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট এম এ জি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় ৩টি সেলাই দিতে হয়েছে বলে জানান শাকিল আহমেদ।
মামলা তদন্তকারী বিশ্বনাথ থানার এসআই গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় গতকাল একটি মামলা দায়ের হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত হয় নি। তবে শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হবে।’
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম মুসা বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা এজহারভুক্ত হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’