অনার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ১৬তম ব্যাচের মানববন্ধন

অনার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ১৬তম ব্যাচের মানববন্ধন
অনার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ১৬তম ব্যাচের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

অনার্স শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে তারা উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ করা হোক। আর তা না হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের ডিগ্রি দিয়ে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করুন। এভাবে আমাদের জীবনের মূল্যবান সময় গুলো নষ্ট করবেন না। আমাদের অধিকাংশই দরিদ্র, দিনমজুর, কৃষক পরিবারের সন্তান। বাবা-মা আর কতদিন আমাদের শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করবে। যেখানে আমাদের ২০১৯ সালেই অনার্স শেষ হওয়ার কথা ছিল সেখানে ২০২০ সাল শেষ হয়ে যাচ্ছে তবুও আমাদের অনার্স শেষ হয়নি।

বক্তারা আরো বলেন, সারাদেশের সব কিছুই চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এটা আমাদের জন্য অভিশাপ। সম্প্রতি আমরা দেখেছি জেএসসি ও এসএসসির ফলাফল সমন্বয় করে এইচএসসির ফলাফল দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জেনেছি। এমতাবস্থায় আমাদের পরীক্ষা আটকিয়ে রাখা কতটা যুক্তি যুক্ত।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান, বোরহানুল হক বিপু, জাহিদ হাসান, রাগীব হাসান সিফাত, ফরহাদ, লুকাস সহ আরো অনেকে। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক জানান, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে তার আলোকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ফ্যাকাল্টির ডিন এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানগণ পদক্ষেপ নিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় কী আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে উপাচার্য মহোদয় ভালো বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেমকে একাধিকবা ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি ।


সর্বশেষ সংবাদ