০৯ অক্টোবর ২০২০, ১৬:২২

হাবিপ্রবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

উপাচার্যের সাথে আলোচনার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা। আজ শুক্রবার সকালে কর্মবিরতিতে থাকা শিক্ষকদের অনুরোধে  উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কয়েকজন শিক্ষকের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

উপাচার্য ও শিক্ষকদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার।

তিনি জানান, স্যারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে যে ভুল বুঝাবুঝি ছিলো সেগুলো সমাধান হয়েছে। এরপর আমরা ভিসি স্যারকে আমাদের সহকর্মী বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা.মো: ফজলুল হক কে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে পুনঃবহালের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। উপাচার্য মহোদয় বিষয়টি দেখবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড.মু.আবুল কাসেমের কাছে আজকের আলোচনা সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের সাথে আমার আলোচনা হয়েছে এবং যে ভুল বুঝাবুঝি ছিলো সেটা সমাধান হয়েছে। তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে যোগদান করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। এরপর তারা ডা.ফজলুল হক কে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে পুন:বহাল করার অনুরোধ করেন। আমি কিছু বলেনি, শুধু বলেছি চিন্তা-ভাবনা করে দেখবো কি করা যায়।

তিনি জানান, একাডেমিক কাউন্সিল করার জন্য সদস্য সচিব হিসেবে একজন রেজিস্ট্রারকে প্রয়োজন। সে কারনে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে প্রফেসর রাজিব হাসান কে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

এর আগে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে হাবিপ্রবির উপাচার্য ড. মু. আবুল কাসেম প্রশাসনিক ভবনে অফিস না করায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছে মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারের নেতৃত্বে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ১৫/২০ জন শিক্ষক গত ৬ অক্টোবর দুপুরে সমস্যা থেকে উত্তোরণে আলোচনা করতে উপাচার্যের বাসভবনে যান। তবে উপাচার্য দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান।

এ সময় ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার মোবাইলফোনে স্বাক্ষাতের অনুরোধ জানালেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন বলে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগণ অভিযোগ করেন। ওই দিন মূল ফটকে সামনে প্রশাসনের দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্রায় আধাঘণ্টা অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে তারা উপাচার্যের উদ্ভট আচরণের জন্য পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে বিরত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন।’