০৭ অক্টোবর ২০২০, ২১:৪৩

ভেঙে ফেলা হলো আবরার ফাহাদের স্মৃতিস্তম্ভ

আবরার স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ  © টিডিসি ফটো

ভেঙে ফেলা হয়েছে আবরারের স্মরণে নির্মিত ‘আট স্তম্ভ’র স্মৃতিস্তম্ভ। বুধবার রাতে বুলডেজার দিয়ে ওই স্তম্ভটি ভাঙা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশীর মোড়ে প্রতীকী এই স্তম্ভ নির্মাণ করেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা জানান, ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়। আবরারের স্মৃতি ও চেতনা সমুন্নত রাখতে তারা এই আট স্তম্ভের প্রতীকী শহীদ মিনার নির্মাণ করেছেন। আট স্তম্ভের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা, আগ্রাসন নির্মূলের দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে স্তম্ভ ভেঙে ফেলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আবরার এ দেশে ভারতীয় আগ্রাসন ও শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-সহিংসতার জ্বলন্ত উদাহরণ। তার স্মৃতি রক্ষার্থে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ এর উদ্যেগে এই স্মৃতি স্তম্ভটি মঙ্গলবার রাতে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্যে করলাম, সরকার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই এটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল।

ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, যতবার তারা এটা ভাঙবে আমরা ততোবার এটা নির্মাণ করবো। কারো আগ্রাসন ও শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস এদেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।

২০১৯ সালের বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে-বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উশৃঙ্খল কর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন।