‘এক বছর পর আবারো অক্টোবর...’

আবরার ফাহাদ
আবরার ফাহাদ

বুয়েটের শেরেবাংলা হল। রুম নাম্বার ১০১১। এখানেই থাকতেন আবরার ফাহাদ। আজ তার কক্ষ নিশ্চুপ। ভয়ঙ্কর স্মৃতি নিয়ে পড়ে আছে খাট। নির্জীব-প্রাণহীন চেয়ার-টেবিল। এসব আসবাব কথা বলতে পারলে হয়তো আরও কত সত্যের বলী জানা যেত।

ঘটনা গত বছর অক্টোবরের। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে এ মাসেই বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রাতে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

সেই ঘটনার পর এক বছর হতে চলেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগামাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ। লিখেছেন, ‘এক বছর পর আবারো অক্টোবর...’

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবরের ওই ঘটনায় ইতোমধ্যেই ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে সম্প্রতি এই মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের মামলার এজাহারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাসহ প্রথমে ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তবে তদন্তের পরে আসামীর সংখ্যা ২৫ জন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে মোট তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ৩০২ ধারায় নরহত্যা, ৩০২ এর ৩৪ ধারা অনুযায়ী হত্যার পূর্ব-পরিকল্পনা এবং ১০৯ ও১১৪ ধারায় হত্যায় অংশগ্রহণের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, হত্যার আগে আসামীরা পরিকল্পনা করেছিল যে তারা আবরারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এবং মারবে, এক আসামী উদ্বুদ্ধ করেছিল, উদ্বুদ্ধ করার পর তারা সম্মিলিত হয়েছিল, পরে আবরার বাড়ি থেকে আসলে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়, তার মোবাইল চেক করা হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়।

নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ