করোনায় থমকে আছে ক্যাম্পাসের মুখরিত আড্ডাগুলো

ক্লাসের ফাঁকে কাপ্তাই লেকের দ্বারে আড্ডা-গল্পে মেতে উঠেন রাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
ক্লাসের ফাঁকে কাপ্তাই লেকের দ্বারে আড্ডা-গল্পে মেতে উঠেন রাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

শত মমতায় জড়ানো প্রাণের বাধঁন সারা জীবন একে যায় সুখের স্বপন। রচনা করে সুখের মহোনা রাবিপ্রবিয়ানদের ভালবাসা এখনো বন্ধুত্ব বাঁধা। বলছিলাম কাপ্তায় লিংক রোডের ধার ঘেষে অবস্থিত রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) কথা।

করোনা মহামারির সব আড্ডা, স্বাধীনতা, গল্প যেন থমকে গেল। নিয়ম করে ক্লাস, ঘুরতে যাওয়া কিংবা টিউশনি একদম আর হয়ে ওঠেনা। ঘরবন্দি সময় যেন এখন ফেসবুক, ইউটিউব আর অনলাইন ক্লাসে সীমাবদ্ধ। ক্লাসের মাঝে হাসির কান্ডে দম আটকে যাওয়া পরিস্থিতি এখন কেবল অতীত। হঠাৎ না জানিয়ে বাড়িতে যাওয়ার আক্ষেপটা শুধু স্বপ্নের। ঈদ যায় পূজা এলো প্রিয় মুখগুলো দেখার ইচ্ছে অদেখাই রয়ে গেল। তাড়াহুড়ো করে ক্যাম্পাস ছাড়ার কারণে প্রিয় ক্যাম্পাসকে বিদায় বলা হয়নি।

ইচ্ছে ছিলো এবারের ট্যুরে ভারত যাবার। মনের মাধুরীর রঙ মিশিয়ে ছবিটা আঁকা শুরু হয়েছিলো। আগে থেকেই প্রস্তুত কবে হবে সে যাত্রা। হঠাৎ সব চুপচাপ সুনশান,নীরব। এই নীরবতা শুধু আমাদের গল্প না বরং গল্পটা পুরো বন্ধুত্বের গল্পটা ক্লাসের চেয়ার-টেবিলের কিংবা বাসের সীটের।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবন মানেই হঠাৎ বন্ধুত্বের গল্প। মন প্রাণখুলে হাসা, আড্ডা, খেলাধুলা তর্কবিতর্ক। আর সেই আড্ডা যদি হয় স্নিগ্ধ সবুজের সমারোহে ঘেরা পাহাড় আর লেকের মাঝে তাহলে তার গন্ধটা আরো প্রকপ হবে বলার অপেক্ষা রাখেনা। পাঁচ টাকার সিঙ্গারা আর চা দিয়ে শুরু হওয়া দিনগুলো এখন কেবল অলস ভাবে কেটে যায়। দুপুরে ডায়নিংয়ে প্লেট আর একটুকরো মাংশের যে লড়াই চলে তা ভেবে সত্যি হাসি পায়।

ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা মানেই এক অন্যরকম ভালোলাগা। জীবনের এই পথে এসে সবচেয়ে আনন্দঘন আড্ডার দেখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে। আড্ডা থেকে শুরু হয় বন্ধুত্ব, শুরু হয় স্বপ্নদেখা এক সাথে পথচলা। ক্যাম্পাস জীবন যেন বন্ধুত্ব, আড্ডা ও ভালোবাসায় ঘেরা।

সব আটকে গেলো বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে সেই ১৬ মার্চ থেকে। জীবনের কাটা তারে স্বপ্নের প্রতিবিম্ব ভাঙ্গে, বিষাদের সুর বেজে ওঠে। স্মৃতির ঝড়ো বাতাসের ঝাপটা আজো নাড়া দেয়! ফিরে নিয়ে যায় অতীতের দিন গুলোতে। খুনসুটি, হাসি-কান্নার গল্প আজো হয়ে থাকে ক্যাম্পাসে ফেরার অপেক্ষায়।

লেখক: শিক্ষার্থী, রাবিপ্রবি ও ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস


সর্বশেষ সংবাদ