বশেমুরবিপ্রবি
বশেমুরবিপ্রবি: ক্যাম্পাস বন্ধেই ঘটে চুরির ঘটনা, তবুও প্রশাসনের টনক নড়ে না
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২০, ০৪:৩৮ PM , আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২০, ০৮:০১ PM
ঈদুল আজহার ছুটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চুরি হয়েছে ৪৯টি কম্পিউটার। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ক্যাম্পাসে চুরির ঘটনা এবারই প্রথম নয়; এর আগেও বেশ কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়াতে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ২৩ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে ২০ জনই অনুনোমোদিত ছুটিতে ছিলেন। বিষয়টি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং উপাচার্যকে (রুটিন দায়িত্ব) জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। আর এর ফলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দূর্বল ছিল।
তিনি জানান, ২০১৮ সালে কম্পিউটার চুরির সময়ে নিরাপত্তাকর্মীরা এমন অনুনোমোদিত ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু ঐ ঘটনায়ও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালেও ছুটির সময়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে দুবারে প্রায় ১০০টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে চুরি হয়েছে ৫০টি কম্পিউটার এবং ২০১৮ সালে চুরি হয়েছে ৪৭টি কম্পিউটার৷
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এর আগেও ছুটির সময়গুলোতেই চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। আমরা আগের চুরির ঘটনায় একটি মামলা করেছিলাম তবে আসামী শনাক্ত না হওয়ায় বিচার হয়নি।
এসময় নিরাপত্তাকর্মীদের অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদুল আজহার ছুটির কারণে দাপ্তরিক কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে নিরাপত্তাকর্মীদেী অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে গত ১০ আগস্ট অনুপস্থিত থাকা ১৯ জন নিরাপত্তা কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ড. মোঃ শাহজাহান জানান, নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটি চেয়ে আবেদন করার পরেরদিনই ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাওয়ায় এবং দপ্তরসমূহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই সময়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট ঈদের ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরুর পর কম্পিউটার চুরির ঘটনাটি বশেমুরবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। ইতিমধ্যে এ ঘটনার তদন্তে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।