অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠবে বশেমুরবিপ্রবি— ডিনদের প্রত্যাশা
- ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২০, ০৮:৪২ PM , আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০, ০৯:৫১ PM
২০০১ সালের ৮ জুলাই পঠন-পাঠনসহ গবেষণার সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি ও সম্প্রসারণকল্পে গোপালগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। কিন্তু এরপর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বন্ধ থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম।
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তবে প্রায় ১০ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা এবং গবেষণাক্ষেত্রে আশানুরূপ উন্নতি করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই দশকে পদার্পণ উপলক্ষে পাঁচজন ডিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন নিজেদের প্রত্যাশার কথা।
ড. মো. আব্দুর রহিম খান
ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ
দুই দশকে পদার্পণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে মাত্র ১০ বছর। এই সময়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বেশ ভালো উন্নতি করেছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের জন্য বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তারা দেশে ফিরলে গবেষণা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় আরও অগ্রসর হবে।
বর্তমানে আমাদের ল্যাব এবং ক্লাসরুম সংকটের যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলোও খুব দ্রুত সমাধান হবে। আশা করি, ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে।
ড. এম. এ. সাত্তার
ডিন, জীব বিজ্ঞান অনুষদ
বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি গবেষণার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা। কারণ করোনাভাইরাসের মহামারীর সময়ে আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি আমাদের দেশ গবেষণার ক্ষেত্রে কত পিছিয়ে আছে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছে, গবেষণা ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বারোপ করলে বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত সময়ের মধ্যেই এগিয়ে যাবে এবং সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় থাকবে।
শেখ আশিকুররহমান প্রিন্স
ডিন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ
এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। যেমন, এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট কোয়ালিটিফুল। আমি প্রত্যাশা করি, সবসময়ই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগসহ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোয়ালিটি নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
আরও প্রত্যাশা করি আমাদের শিক্ষকরা গবেষণা করবেন, তাদের লেখা ভালোমানের জার্নালে প্রকাশিত হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবে। সব মিলিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেখতে চাই যাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে গর্ব করতে পারে।
মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া
ডিন, মানবিকী অনুষদ
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম আর বিশ্বজুড়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা পরিচিতি রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা করি যে আমি যেই প্রতিষ্ঠানে রয়েছি সেই প্রতিষ্ঠানটিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সুপরিচিত হয়ে উঠুক।
যেহেতু এটি জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়বদ্ধতা কিছুটা বেশি। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটা অবস্থানে দেখতে চাই যাতে জাতির জনকের নামের মর্যাদা রাখতে পারে।
মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়া
ডিন, আইন অনুষদ
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বিভিন্ন সংকট থাকলেও আশা করি খুব দ্রুতই এসব সংকট সমাধান হবে। আর যেহেতু এটি জাতির জনকের জন্মভূমিতে তার নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে আমাদের প্রত্যাশাও অনেক বেশি। আশা করি খুব শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার মান ও শিক্ষার পরিবেশের দিক থেকে সেরা হয়ে উঠবে। এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।