গবেষণায় বরাদ্দ বেড়েছে বশেমুরবিপ্রবির, পর্যাপ্ত নয় বলছেন শিক্ষকরা
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে গবেষণা খাতে পূর্বের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে গবেষণায় বরাদ্দ বাড়লেও এটি পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
বশেমুরবিপ্রবির হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ সুজাউদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, চলতি অর্থবছরে সাধারণ গবেষণার জন্য ৫০ লাখ এবং বিশেষ গবেষণার জন্য ২৫ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় এটি ৩৫ লাখ টাকা বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গবেষণা খাতে ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘মার্চ মাসে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের কাজ শুরু হয়, আমরা তখনই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে অনুরোধ করেছিলাম গবেষণা খাতে যেনো অধিক বরাদ্দ দেয়া হয়। কারণ আমাদের শিক্ষক সংখ্যা এবং মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়েছে।’
গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বশেমুরবিপ্রবির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এম এ সাত্তার বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হলো গবেষণা। তাই গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি অবশ্যই পজিটিভ একটা বিষয়। তবে বৃদ্ধির পরও যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, সেটিও প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য।’
তিনি বলেন, ‘এর সঠিক ব্যবহার না করতে পারলে এই অর্থও মূল্যহীন হয়ে যাবে। তাই আশা করবো, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কতটা ভালো গবেষক সেটি বিবেচনা করে এই অর্থ বরাদ্দ দেবে।’
অনেকটা একই বিষয় উল্লেখ করে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রহিম খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘গবেষণায় যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তার তুলনায় এই অর্থ অতি সামান্য। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাবগুলোর অবস্থা ভালো নয়, এখানে গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগও নেই। তাই অর্থ বরাদ্দ দিলেও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা কঠিন। তারপরও আমরা আশা করছি, যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।’
উল্লখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৪ কোটি দুই লাখ টাকার বাজেট বরাদ্দ পেয়েছে বশেমুরবিপ্রবি। বাজেটে পূর্বের অর্থবছরের তুলনায় বেতন ও ভাতাদি বাবদ সহায়তা এবং গবেষণা অনুদান বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা এবং মোট মূলধন বরাদ্দ হ্রাস পেয়েছে।