বুটেক্সে কনভোলিউশন-২০২০ চ্যাম্পিয়ন ‘ড্যাম-জেম’
চলমান করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতিতে চলছে মন্দা। ধস নেমেছে দেশের বড় রপ্তানি খাত টেক্সটাইল সেক্টরে। কেমন হবে করোনা পরবর্তী দেশের টেক্সটাইল শিল্প? তারই সূচক হিসেবে বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হলো বিজনেস কেস কম্পিটিশন ‘কনভোলিউশন-২০২০’। বুটেক্সের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাবের উদ্দ্যেগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
প্রতিযোগিতার মূল বিষয়বস্তু ছিলো করোনা পরবর্তী টেক্সটাইল সেক্টরের অবস্থা সম্পর্কিত। বুটেক্সের ৪৫তম ব্যাচের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা চলে। কয়েক রাউন্ডের জমজমাট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ী দলের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়, টিম ‘ড্যাম -জেম’। প্রথম রানার আপ টিম ‘স্যাবোটাজ’ এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয় টিম ‘সোওয়র্ডস’।
চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হলেন আবিদ হাসান, মির্জা সৌভিক, সাকিব আহমেদ এবং মোনাবির রাফসান ফাহিম। চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য মোনাবির রাফসান ফাহিমের সাথে এ নিয়ে কথা বললে তিনি বলেন ‘যেহেতু দেশের বেশিরভাগ টেক্সটাইল শিল্পের বাজার ইউএসএ-তে, সে কথা মাথায় রেখে আমাদের ক্যাসের সলিউশন সেইভাবে সাজিয়েছি। এই জিনিসটা আমাদের অনেক দূর নিয়ে গেছে।’
একইসঙ্গে তিনি আয়োজকদের সুষ্ঠু, সুন্দর ও সময়মত সব রাউন্ড পরিচালনা করা এবং বিচারকদের অভিনব ও সুষ্ঠু বিচারের প্রশংসা করেন।
ওয়েট প্রসেস ক্লাবের একাডেমিক এন্ড রিচার্চ এডিশনাল সেক্রেটারি ফয়সাল আহমেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনায় একঘেয়েমি কাটাতে এবং করোনা পরবর্তী টেক্সটাইল সম্পর্কে বুটেক্সিয়ানদের সুষ্ঠু ধারণা জন্মানোর লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতার ফি বাবদ যে নামমাত্র টাকা নেয়া হয়েছিলো, সে সব টাকা করোনায় অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো মানবিক সংগঠন ‘স্বপ্ন সারথী’-কে দান করা হবে। সবশেষে তিনি প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণের জন্য এবং বিচারকদের সময় দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।