ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বশেমুরবিপ্রবির ৮ সংগঠনের
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আটটি সংগঠন। আজ শনিবার (২৭ জুন) আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে এই আটটি সংগঠন একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করেছে।
বিবৃতি প্রদানকারী সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (বশেমুরবিপ্রবি সংসদ), উদীচী, স্ফুলিঙ্গ (আবৃত্তি সংসদ), বশেমুরবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, শিল্প সাহিত্য সংঘ, বিজ্ঞান ক্লাব এবং Consumer Youth Bangladesh.
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা মহামারীতে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা ও অবাধ দূর্নীতির চালচিত্র ইতোমধ্যেই জনগণের কাছে নগ্ন সত্য হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। শুরু থেকেই যেসকল সচেতন নাগরিক এই রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যৌক্তিক সমালোচনা করেছেন, রাষ্ট্র তাদের কন্ঠকে রোধ করে চলেছে "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন" নামক এক ঔপনিবেশিক মনস্তত্ত্ব থেকে তৈরী আইনের মাধ্যমে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইতোমধ্যে ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, এক্টিভিস্ট দিদারসহ বেশ কয়েকজন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামক এই নিপীড়নমূলক আইনের শিকার হয়েছেন। সকল প্রকার যৌক্তিক সমালোচনাকে অপরাধ জ্ঞান করে রাষ্ট্র কেড়ে নিচ্ছে মানুষের বাক-স্বাধীনতার অধিকার এবং একই সাথে সৃষ্টি করে চলেছে এক সর্বজনীন ভয়ের সংস্কৃতি। এমনকি রাষ্ট্রযন্ত্রের তাঁবেদারিতে পিছিয়ে নেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনও ৷
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করেছি তথাকথিত 'মানহানি', 'কটুক্তি', 'গুজব রটানো' ইত্যাদি অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক মামলা করা হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সিরাজুম মুনিরা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিরের বিরুদ্ধে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃত সকলের মুক্তি দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, গণতন্ত্র, গণমানুষ ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি সম্মান রেখে আমরা সকলে অচিরেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাই এবং একই সাথে উক্ত আইনে হেনস্তার শিকার হওয়া এবং কারারুদ্ধ সকলের মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।'
প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকসহ বিশিষ্ট নাগরিকরাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।