হাবিপ্রবিতে জোড়া খুন: স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়া খুনের মামলাসহ আরও বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট মামলায় দিনাজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু ইবনে রজব ও দিনাজপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের বাহাদুর বাজার এলাকা থেকে পুলিশের প্রায় ৫০ জনের একটি দল অভিযান চালিয়ে জেলা ইমাম আবু জাফর রজবের মালিকাধীন আবাসিক হোটেল আফিয়া ইন্টারন্যাশনাল থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমাম আবু জাফর রজবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বিপুলসংখ্যক পুলিশের একটি দল ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে শহরের সুইহারী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সুজনকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত এ দুই নেতার মুক্তির দাবিতে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কোতয়ালী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে তার অনুসারীরা। এসময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সুজন সরকার জানান, ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল রাতে হাবিপ্রবিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী জাকারিয়া মিল্টন ও মাহামুদুল হাসান নিহতের ঘটনায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনজুর রহমান হত্যা ঘটনাসহ অসংখ্য ডাকাতি, চুরি, লিচুর বাগান লুটের অভিযোগও রয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল হাবিপ্রবির ভেটেরিনারি অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের সঙ্গে ছাত্রলীগের অন্য অংশের সংঘর্ষে বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জাকারিয়া ও কৃষি বিভাগের ছাত্র মাহমুদুল হাসান মিল্টন নিহত হন।
খুনের ঘটনায় পরিবারের করা পৃথক দুটি মামলায় ৪১ জনকে আসামি করা হয়। নিহত মিল্টনের চাচা মকসুদার রহমান বাদী হয়ে ৩৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার এক নম্বর আসামি করা হয় তখনকার উপাচার্য রুহুল আমিন।
এ ঘটনায় এ বছরের শুরুতে বিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিচারের আশ্বাস দিয়ে নিহত দুই নেতার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।