০৪ জুন ২০২০, ২২:১৭

হাবিপ্রবি মেডিকেল কর্মকর্তাকে প্রয়োজনে পাওয়া যায় না, জানালেন— ফোন সাইলেন্ট থাকে

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) সাধারণ ছুটি চললেও মেডিকেল সেন্টারসহ জরুরি সেবাসমূহ চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। তবে এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রয়োজনে পাওয়া যায় না। 

শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোন প্রয়োজনে ফোন দিলে তিনি সাড়া দেননা— এমনটিই অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তবে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের দাবি, সাধারণ ছুটিতে বাসায় অবস্থান করাতে বেশিরভাগ সময় ফোন সাইলেন্ট করা থাকে, এজন্য অনেকের কল ধরা সম্ভব হয় না। বিষয়টি নিয়ে তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে জানান।

কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী অভিযোগ করে জানান, দেশের এই পরিস্থিতিতে যেখানে একজন চিকৎসককে সব সময় প্রস্তুত থাকা দরকার। সেখানে ডা. আনোয়ার হোসেন একেবারে বেখবর। মনে হয় যেন আছেন তিনি কোন ভিনগ্রহে বসবাস করছেন। কোন প্রয়োজনে ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেন না এবং পরবর্তী ফোন দিয়ে যে খোঁজ নেবেন; সেটাও তিনি করেন না।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের চীফ মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেও আজ তাকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কেন, কি কারণে তিনি ফোন রিসিভ করেননি সেটা আমি জানিনা। এ ব্যাপারে অনেকেই আমাকে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছে, তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমিও মৌখিকভাবে বিষয়টি রেজিস্ট্রার স্যারকে জানিয়েছি। ক্যাম্পাস খুললে এ বিষয়ে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি কার কি সমস্যা হয় না হয়- তা বলা কঠিন। মানুষ তো প্রয়োজনেই তাকে ফোন করে। কিন্তু তিনি যে কাজটা করছেন সেটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না।

তবে চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বাসায় থাকায় অনেক সময় বাচ্চারা ফোন নিয়ে খেলাধুলা করে এ কারনে কখন কে ফোন দিয়েছে তা বুঝতে পারিনি। তাছাড়া বাসায় থাকাকালীন বেশিরভাগ সময়ই ফোন সাইলেন্ট করা থাকে, এজন্য অনেকের ফোন ধরা সম্ভব হয় না। বিষয়টি নিয়ে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করছি আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।

প্রসঙ্গত, করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ ছুটি চললেও জরুরি সেবাসমূহ চালু থাকার কথা জানিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রশাসন। সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি সেবা (মেডিকেল সেন্টার, চিকিৎসা, নিরাপত্তা) এবং অতি জরুরি ও অপরিহার্য কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রাখার সিন্ধান্তের কথা জানানো হয়।