বশেফমুবিপ্রবি অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী
মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অনলাইন পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাসে ৭০-৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের আলোচনায় এ পরিসংখ্যান দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা ছয়টি বিভাগে জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গেও নিয়মিত অনলাইনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।
এতে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা যেকোনো জায়গা থেকে ফেসবুক গ্রুপ থেকে শুরু করে গুগল ক্লাসরুম, জুম, ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, হ্যাং–আউট নানা কিছুর মাধ্যমে ক্লাসে যোগ দিতে পারেন। এমনকি যদি কেউ ক্লাসে যোগ দিতে না পারেন, তবুও তিনি কোর্স শিক্ষকের দেওয়া লেকচার রেকর্ড এবং শিক্ষার অন্যান্য উপকরণ থেকে শিখে নিতে পারেন।
অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ফিশারিজ বিভাগের শেষ বর্ষের ‘ফিশ ফিড টেকনোলজি’ কোর্সের ক্লাস নিচ্ছেন ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষক পার্থ সারথী দাশ। অনলাইন পাঠদান বিষয়ে তিনি বলেন, অনলাইনে পাঠদান আমাদের দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যারের নির্দেশনায় করোনার এই দুর্যোগময় মূহুর্তে অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি।’
তিনি বলেন, অনলাইনে প্লাটফর্ম জুম এ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ক্লাস নিচ্ছি। এতে হোয়াইট বোর্ড, স্লাইড শেয়ার করার সুবিধাও আছে। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বেশ সাড়া পাচ্ছি। শুরু থেকেই শেষ বর্ষের ৩১ জন শিক্ষার্থীদের ২৭ জন ক্লাস করছে। পরে আরও দু-তিনজন বেড়েছে।
ফিশারিজ বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার বলেন, অনেকদিন আমাদের ক্লাস বন্ধ ছিল। ফলে আমাদের পড়ালেখায় অনেক ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। জুম অ্যাপ ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই ক্লাস করতে পারছি।স্যাররা অনেক কষ্ট করে আমাদের লেকচার দিচ্ছেন।
শেষ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ফিশারিজ বিভাগের প্রতিটি শিক্ষক অত্যন্ত যত্ন সহকারে ক্লাস নিচ্ছেন। আমি শেয়ার করছি, একুয়াকালচার ডিপার্টমেন্টের ফিশ ফিড টেকনোলজি ক্লাসের কথা। এই কোর্সটি আমাদের জন্য অতি গুরুত্ববহ। আর এই গুরুত্ববহ কোর্সটির কোর্স টিচার পার্থ স্যার অত্যন্ত সুনিপুণ ভাবে ক্যাম্পাসে ক্লাস চলাকালীন সময়ে আমাদের যেভাবে পাঠদান করেছেন।
শেষ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ফিশারিজ বিভাগের প্রতিটি শিক্ষক অত্যন্ত যত্ন সহকারে ক্লাস নিচ্ছেন। আমি শেয়ার করছি, একুয়াকালচার ডিপার্টমেন্টের ফিশ ফিড টেকনোলজি ক্লাসের কথা। এই কোর্সটি আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কোর্সটির টিচার পার্থ স্যার ক্যাম্পাসে ক্লাস চলাকালীন সময়ে যেভাবে পাঠদান করতেন, মহামারীর এ সময়েও তিনি অনলাইনের মাধ্যমে একইভাবে পাঠদান করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি বিভাগেই অনলাইনে পাঠদান চলছে। এটা আমাদের বড় অর্জন। ছুটির পর শিক্ষার্থীরা যাতে শুধু সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে করোনার ছুটির প্রভাব তাদের শিক্ষাজীবনে পড়বে না।’