মোর ইন্টারপ্রিনিউরিয়াল লাইফ প্রকল্পের আওতায় উদ্যোক্তা তৈরি হবে বশেমুরবিপ্রবিতে
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ মে ২০২০, ১২:২২ PM , আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ০২:৪৫ PM
ইউরোপিয়ান কমিশনের ‘‘মোর ইন্টারপ্রিনিউরিয়াল লাইফ’’ প্রোগ্রামের অধীনে উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং দিকনির্দেশনা পাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন শেখ আশিকুর রহমান প্রিন্স, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক মো. রকিবুল ইসলাম এবং মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক মো. আল আমীনের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রকল্পটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠাকে উৎসাহিত করতে এবং উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বশেমুরবিপ্রবি সহ দেশে এবং দেশের বাইরের সর্বমোট আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৬ মে একযোগে এই প্রকল্পের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
প্রকল্পটিতে বশেমুরবিপ্রবি ব্যতিত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয় (Leipzig University), পোল্যান্ডের মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি অব স্তেতিন (Maritime University of Stettin), বাংলাদেশের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা এবং নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। বশেমুরবিপ্রবির তিনজন শিক্ষকসহ এসকল বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট ২৫ জন শিক্ষক অনলাইনে সংযুক্ত থেকে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রছাত্রীদের জন্য উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ উপযোগী মডিউল প্রণয়ন করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য উদ্যোক্তা সহায়ক কেন্দ্র স্থাপন করা এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে স্টার্ট আপকে উৎসাহিত করার জন্য একটি Crowdsourcing Platform গড়ে তোলা। এছাড়া প্রকল্পের অধীনে একটি Regional Innovation and Business Plan Competition আয়োজন করা হবে এবং খুলনা ও জার্মানির লাইপজিগ শহরে দুটি Summer School আয়োজন করা হবে। যেখানে প্রত্যেকটি অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচিত সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি ২০২০ সালে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত চলমান থাকবে।