০৩ মে ২০২০, ২১:০৫

ফুচকা-চটপটি বিক্রেতাদের পাশে দাঁড়াতে চায় বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

  © টিডিসি ফটো

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য পাঠদান হলেও এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে অনেকের বেঁচে থাকার অবলম্বনও। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসকল ভ্রাম্যমাণ খাদ্য বিক্রেতারা থাকেন তাদের জীবনযাপন পুরোপুরি নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ওপর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চালু থাকলে তারা অর্থ উপার্জন করতে পারেন আর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকলে তাদের আয়ও বন্ধ।

অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) রয়েছে এমন বেশ কয়েকজন ভ্রাম্যমান খাদ্য বিক্রেতা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু চায়ের দোকানও। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রায় একমাস যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এসকল খাদ্য বিক্রেতাদের আয়ও বন্ধ। ফলে অর্থের অভাবে অনেকই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর এসকল দিক বিবেচনা করেই তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষার্থী।

উদ্যোগ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছোট দোকানগুলো দিয়ে সংসার চালানো ব্যক্তিরা যাদের আমরা মামা বলে ডাকি, যারা আমাদের দেখলেই একটা হাসি দিয়ে কথা বলে তারা হয়তো এখন ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়েই দিনপাত করছে। তাই আমরা চাচ্ছি এই দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে। কারণ তারাও আমাদের পরিবারের অংশ, তাদের বাদ দিয়ে আমরা ভালো থাকতে পারিনা।’

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন প্রায় ১৫ জন খাদ্য বিক্রেতা রয়েছে। আপাতত তারা প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করার পরিকল্পনা করেছেন। ইতোমধ্যে এই লক্ষ্যে তারা ফান্ড গঠনের কার্যক্রম শুরু করেছেন এবং বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন।

ফুচকা-চটপটি বিক্রেতাদের জন্য সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা-
০১৭২৫৫৯১৮২৬ (বিকাশ)
০১৫২১৪১০৮৪৩৬ (রকেট)