গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের র্যাপিড কীট উদ্ভাবনে নোবিপ্রবির দুই শিক্ষক
করোনা শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দ্রুত পরীক্ষার কীট উদ্ভাবনকারীর দলে রয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফলিত রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড ফিরোজ আহমেদ।
গবেষণা সূত্র জানায়, নোবিপ্রবি ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের গবেষণাগারে ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী সাঈদুল ইসলামের সহযোগিতায় করোনা পরীক্ষার কীটের প্রধান উপাদান গোল্ড ন্যানো পার্টিকেলটি আকরিক থেকে ট্রিটমেন্ট করা হয়। পরবর্তীতে অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ ও ফলিত রসায়নের শিক্ষার্থী সাঈদুল ইসলামসহ বিভাগীয় গবেষণাগারে গোল্ড ন্যানো পার্টিকেলটিকে এন্টিবডির সাথে টেষ্ট করেন। যা থেকে সহজে করোনা শনাক্ত করা যায়।
গোল্ড ন্যানো পার্টিকেল করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কীটের প্রধান উপাদান। এটি এন্টিবডির সাথে দেওয়া হলে এক ধরণের বর্ণ ধারন করে যা থেকে করোনা আছে কিনা তা শনাক্ত করা যাবে।
এবিষয়ে ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনা শনাক্তকরণে মূল উপাদানটি হচ্ছে গোল্ড ন্যানো পার্টিকেল। যেটির মাধ্যমে খুব সহজে করোনা শনাক্ত করা যাবে। এটির মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হলে সঠিক তথ্য দিবে বলে জানান এই অধ্যাপক।
এছাড়া ড. ফিরোজ আহমেদ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দলের ড. বিজন কুমার শীল এর সাথে শুরু থেকেই কাজ করেছেন। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি প্রথম থেকেই ড. বিজন কুমার শীলের সঙ্গে কাজ করেছি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান গবেষণাগারে গোল্ড ন্যানো পার্টিকেল নিয়ে কাজ করেছি। যেটি খুব সহজেই করোনা শনাক্ত করবে।
শনিবার ধানমন্ডিস্থ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে করোনা পরীক্ষার এই নমুনা কিট প্রকাশ করা হয়। গত ১৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনের সরকারি অনুমোদন পায় প্রতিষ্ঠানটি।