ছাত্রদের টিউশন বন্ধ তাই করোনার সময় বাড়ি ভাড়া নেবোনা
বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার নিয়ম থাকলেও গত ১০ বছরে মাত্র ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন সুবিধা দিতে পেরেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে প্রায় ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভাড়া বাসায় থেকেই পড়ালেখা চালিয়ে নিতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বসবাসরত এসকল শিক্ষার্থীদের একটি বৃহৎ অংশ বাসা ভাড়ার জন্য নির্ভর করেন টিউশনের ওপর। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এসকল শিক্ষার্থীদের টিউশন বন্ধ থাকায় বাসা ভাড়া প্রদান করতে বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। আর এই সমস্যার কথা চিন্তা করেই করোনার সময়টাতে বাড়িভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোপালগঞ্জের চরপাথালিয়ার আনিসুর রহমান ফকির।
তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘‘আমার বাসায় ছয়জন ছাত্র থাকে। প্রায় সকলেই টিউশন করিয়ে নিজেদের পড়ালেখার খরচ বহন করে। কিন্তু বর্তমানে তাদের আয় বন্ধ তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতদিন এধরনের পরিস্থিতি চলবে তাদের কাছ থেকে বাড়িভাড়া নিবোনা।’’
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘‘ছাত্ররা না থাকলেওতো আমি চলতাম আর এইসময়ে তাদের পাশে দাড়ানো একজন মানুষ হিসেবে নিজের দায়িত্ব মনে হয়েছে।’’
এ বিষয়ে উক্ত বাসায় বসবাসকারী রসায়ন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘‘আমরা মেসে যারা থাকি প্রায় সকলেই টিউশন করে নিজেদের পড়ালেখার খরচ বহন করি। করোনার কারণে এখন আমাদের টিউশন বন্ধ, তাই বাসা ভাড়া নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলাম। বাসাভাড়া মওকুফ করায় সত্যিই আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। আমরা বাড়ির মালিকের নিকট কৃতজ্ঞ।’’
এসময় এই শিক্ষার্থী অন্যান্য বাড়িওয়ালাদেরও বাড়িভাড়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ জানান এবং বলেন, ‘‘আমরা আশা করবো অন্যান্য বাড়ির মালিকরাও আমাদের বাড়িওয়ালাকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে এবং যারা পুরোপুরি বাড়িভাড়ার ওপর নির্ভরশীল নয় তারা সম্ভব হলে বাড়িভাড়া মওকুফ করবে।’’