সক্ষমতা আছে, পিপিই’র অভাবে করোনা শনাক্ত করতে পারছে না যবিপ্রবি
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে সক্ষম যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) অত্যাধুনিক গবেষণাগার জিনোম সেন্টার। শুধুমাত্র রোগীর নমুনা, কিট এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) অভাবে এ কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাস বহনকারী রোগী শনাক্তে যথেষ্ট জনবল রয়েছে। সরকারের সহায়তা পেলেই এখনই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। এ বিষয়টি যশোরের জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুলনা বিভাগে করোনা পরীক্ষার যে সেন্টার করার কথা বলা হচ্ছে, সেটিও যবিপ্রবিতে স্থাপন করা সম্ভব।
এ বিষয়ে সরেজমিনে দেখতে সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের দল যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার পরিদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের জানানো হয়, দেশে আমদানিকৃত কিট দিয়েই ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩০ জনের পরীক্ষা সম্ভব। যবিপ্রবির উপাচার্য যেহেতু নিজেই একজন গবেষক, সুতরাং সরকার সিদ্ধান্ত নিলে তিনিসহ এ সেন্টারের সঙ্গে জড়িত সকল শিক্ষক ও গবেষক কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে কোনো বাড়তি জনবল সরবরাহের প্রয়োজন নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগীর নমুনা, কিট এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দিলে আমরা এটা পরীক্ষা করে ফলাফল প্রসেসিং করে দিতে পারবো। অর্থাৎ এ পরীক্ষা করার জন্য যত রকম অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজন সবই আমাদের আছে। আমি এ বিষয়টি যশোর জেলা প্রশাসক ও যশোরের সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি এবং তাদের তিন সদস্যবিশিষ্ট দল আমাদের ল্যাব পর্যবেক্ষণ করেছে।
তিনি জানান, আমাদের ল্যাব টেকনিশিয়ানদের সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। এখন আমরা সরকারের সাড়ার অপেক্ষায় আছি। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের এই সংকটাপন্ন সময়ে সহযোগিতা করতে সব সময় প্রস্তুত।