শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল পবিপ্রবি
ক্যাম্পাস র্যাগিংমুক্ত, নানা অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ বহাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ শতাধিক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষকরা। শিক্ষকদের টানা আন্দোলনে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় ২৩ জানুয়ারি ১৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ভিসিসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। অবরুদ্ধ করার প্রতিবাদে শিক্ষকরা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পাল্টা আন্দোলনে নেমে পড়েন। এ ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ শিক্ষার্থীকে ২৩ জানুয়ারি এক সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামে তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষককে প্রায় ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। ঘটনার প্রেক্ষিতে অবরুদ্ধ অবস্থায়ই এক জরুরি বৈঠকে বসে শিক্ষক সমিতি। বৈঠক শেষে তারা র্যাগিংয়ে জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি বহাল রাখার দাবি জানান।
একই সঙ্গে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করার কাজে জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন। অনুষদীয় ল্যাবসহ ক্লাস রুমগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস ও চলমান পরীক্ষাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের থাকার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবুল কাসেম চৌধুরী জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস র্যাগিংমুক্ত থাকার কথা। অথচ একের পর এক র্যাগিং হয়ে আসছে এবং এ র্যাগিংয়ের অপরাধে অভিযুক্ত ১৫ শিক্ষার্থীকে গত ২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থী আরও কতিপয় শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে পরে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমাদের কাম্য ছিল না। ক্যাম্পাস র্যাগিংমুক্ত, বহিষ্কারাদেশ বহাল রাখা এবং ভিসিসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধকারী শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছি।