টারবাইন ছাড়া উইন্ডমিল তৈরি করেছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
উইন্ডমিলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল অংশ টারবাইন। কিন্তু এই টারবাইন ছাড়াই উইন্ডমিল তৈরি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক্যাল এন্ড ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন বানিজ্যিকভাবে এই পদ্ধতিতে উইন্ডমিল তৈরি করা গেলে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে প্রায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ গুণ অর্থ সাশ্রয় হবে।
টারবাইনবিহীন এই উইন্ডমিল তৈরিকারী পাচঁ শিক্ষার্থী হলেন শুভ্রদীপ বিশ্বাস, নাহিদ হাসান আল-কুরাইশী, শুভ্রদেব গাইন , শেখ কামরুজ্জামান এবং জাবিদ হাসান। রিনিউয়াবল এনার্জি সম্পর্কিত একটি প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এই টারবাইনবিহীন উইন্ডমিলটি তৈরি করেছেন তারা।
উইন্ডমিলটির বিষয়ে শুভ্রদীপ জানান, ‘‘উইন্ডমিলের অন্যতম ব্যয়বহুল অংশ টারবাইন কিন্তু আমাদের তৈরিকৃত উইন্ডমিলটিতে টারবাইনের পরিবর্তে আমরা স্বল্প খরচে তৈরিকমত একটি বিশেষ রোটেশনাল হুইল ব্যবহার করেছি। যদি বানিজ্যিকভাবে এই পদ্ধতিতে উইন্ডমিল তৈরি করা যায় তাহলে প্রায় ২৫-৩০ গুণ অর্থ সাশ্রয় হবে।’’
প্রজেক্টটিতে শিক্ষার্থীদের সুপারভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ইইই বিভাগের প্রভাষক মোঃ ইয়াকুব আলী বলেন, ‘‘আমাদের দেশটি নদীমাতৃক দেশ এবং নদীর তীরবর্তী এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণ বায়ুপ্রবাহ থাকায় আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে উইন্ডমিল একটি সম্ভাবনাময় পদ্ধতি। তাছাড়া বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ ক্ষেত্র অনেকটা গ্যাস এবং কয়লার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু একসময় এসকল কাঁচামাল শেষ হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে রিনিউয়েবল এনার্জি হতে পারে আমাদের একমাত্র সমাধান’’। প্রজেক্টটির সম্ভাবনা সম্পর্কে এই শিক্ষক বলেন অধিকতর গবেষণার মাধ্যমে টারবাইনবিহীন এই উইন্ডমিলটি থেকে ভালো কোনো ফলাফল আসতে পারে।
ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা সম্পর্কে টিমের আরেক সদস্য নাহিদ হাসান জানান, ‘‘আমরা স্বল্প পরিসরে সফল হয়েছি। বৃহৎ পরিসরে হয়তো কাজটা আরো চ্যালেঞ্জিং এবং আশানরূপ সফলতাও অনিশ্চিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা পেলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি পরীক্ষামূলকভাবে ২০০ ওয়াটের একটি উইন্ডমিল তৈরি করতে চাই’’।