এইডসের বিরুদ্ধে কাজ করবে ‘ক্রিসপার ক্যাস নাইন’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ক্রিসপার জিন বিষয়ক দুই দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগ এবং বায়ো-বাংলার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালাটি গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। আজ রবিবার সনদ প্রদানের মাধ্যমে কর্মশালাটি শেষ হয়েছে।
কর্মশালাটির প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএমবি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. লুৎফুল কবির আর প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বায়ো-বাংলার সিওও সালমান প্রমাণ এবং সিইও হোসেইন মোহাম্মদ মাসুম।
কর্মশালায় বশেমুরবিপ্রবি ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছেন।
বিএমবি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং কর্মশালাটির প্রধান সমন্বয়ক মো. লুৎফুল কবির বলেন, বর্তমানে অন্যতম আলোচিত জিনোম ইডিটিং প্রযুক্তি হলো ‘ক্রিসপার ক্যাস ৯’। এটি এমন একটি প্রযুক্তি যেটি এইডসের মত মরণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধেও কাজ করতে সক্ষম। শিক্ষার্থীরা যাতে এই প্রযুক্তিটি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারে এবং মানবকল্যানে ব্যবহার করতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই আমরা এই কর্মশালাটি আয়োজন করেছি।
ক্লাসটার্ড রেগুলারলি ইন্টারস্পেসড শর্ট প্যালিনড্রোম রিপিটস (ক্রিসপার ক্যাস৯) প্রকৃতিতে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরক্ষা হিসাবে কাজ করে। ব্যাকটেরিয়া যখন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন এই ক্রিসপার সিকোয়েন্স থেকে কিছু প্রোটিন উৎপন্ন হয়। এই প্রোটিন গুলো ভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারে। এই ক্রিসপার প্রোটিন গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্যাস৯। যদিও ক্যাস৯ প্রোটিনের কাজ হলো ভাইরাসকে আক্রমণ করা কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন তাকে সম্পূর্ণ একটি ভিন্ন কাজে লাগাচ্ছেন। আর এই কাজটি হলো জিনোম এডিটিং করা।