লাঞ্ছনার শিকার হয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী লাঞ্ছনার শিকার হয়ে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আজ ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য দুই দিন সময় দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটিতে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক সনজয় কুমার মুখার্জিকে প্রধান করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির অন্য সদস্য হলেন- আইআইএসের প্রভাষক এমদাদুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ওমর ফারুক এবং সহকারী প্রক্টর শেখ মারুফা নাবিলা ও তনুজা বড়ুয়া।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি হামলার শিকার ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে ফলিত গণিত বিভাগ ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান দূর্জয় ও ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মারিয়াম সিদ্দিকা জেমির যুগল একটি ছবি পোস্ট করে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সোহেলকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে নীল দিঘী পাড়ে আসতে বলে দুর্জয় ও তার সহপাঠীরা। এসময় জেমিও তাদের সঙ্গে ছিলেন বলে জানা গেছে।
এ সময় মারিয়াম সিদ্দিকা জেমি সোহেলকে কান ধরিয়ে হাঁটিয়ে চরমভাবে লাঞ্ছনা করে এবং তার সহযোগীরা মারধর করে বলেও জানায় সোহেল। জেমি সোহেলের ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পরবর্তীতে মাইজদী বিশ্বনাথের মেসে গিয়ে সোহেল আত্মহত্যার চেষ্টা করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সহপাঠীরা তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘ সময় চিকিৎসার পর জ্ঞান ফেরে আহত সোহেলের।