ফের অচল বশেমুরবিপ্রবি, ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা
প্রশাসনিক ভবনের পর এবার একাডেমিক ভবনেও তালা দিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সকালেই তালা লাগিয়ে দেন।
জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো ধরণের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়নি। ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে প্রায় সব বিভাগের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা পোষণ করেছে।
লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম জানান, ‘একটি বিভাগ একজন শিক্ষার্থীর অস্তিত্ব। অনুমোদনবিহীন বিভাগ খোলা সাবেক উপাচার্যের অপরাধের দায়ভার কেনো শিক্ষার্থীরা নিবে? এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি ইতিহাস বিভাগের আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করছি এবং তাদের দাবির পক্ষে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছি।’
ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফতাবউজ্জামান বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করায় অন্যান্য বিভাগের ভাইবোনদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান জানান, ‘আমরা ইতিহাস বিভাগের দাবির বিষয়ে আন্তরিক। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ছাড়া পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব নয়। আর একাডেমিক কাউন্সিল আহবান আমার ক্ষমতার বাইরে।’
উল্লেখ্য, ইউজিসির অনুমোদন ব্যতিত বশেমুরবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ ইতিহাস বিভাগের শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর পর গত ৬ ফেব্রুয়ারী বিভাগটিতে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ দেয় ইউজিসি।
ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি রাত থেকেই প্রশাসনিক ভবনে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। বিভাগটিতে বর্তমানে ৪২৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে।