র্যাগিংয়ের অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা: উপাচার্য
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম বলেছেন, র্যাগিং নামক অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। ম্যানার শেখানোর নাম করে কাউকে মানসিক বা শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। কারো বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আজ সোমবার (০৩ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. এস এম হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত র্যাগিং বিরোধী সভায় প্রধান অতিথি তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক শিক্ষককে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে যত্নবান হতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লাসে প্রবেশ করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কে ক্লাসে আসলো আর কে আসলো না সে ব্যাপারেও খোজ রাখতে হবে। কারো বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসন বাধ্য হবে। আমি মনে করি, একজন শিক্ষক হিসেবে ক্লাস-পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাই আমার নৈতিক দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার, কৃষি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. নাজিম উদ্দিন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো. কুতুব উদ্দিন, ফিসারিজ অনুষদের অধ্যাপক ড.এ কে এম রহুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো. নওশের ওয়ান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন সহযোগী অধ্যাপক ড.মো.মাহাবুব হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা,ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ,মেস মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি র্যাগিং বন্ধে নির্দেশনা এসেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। হাইকোর্টের একটি দ্বৈতবেঞ্চ র্যাগিংয়ের নামে অপসংস্কৃতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত র্যাগিং বন্ধে কমিটি গঠন ও নীতিমালা করার ব্যাপারে রুলও জারি করেছেন। একজন আইনজীবীর করা একটি রিটে এ নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।