বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি: উপাচার্য
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস অনেক পুরনো ইতিহাস। ১৯৬৭ সালে আমি যখন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি তখন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়নি। বাংলাদেশের সৃষ্টি ছাত্রলীগের জন্মেরও অনেক পরে। তাই এই সংগঠনের প্রতি সব সময় আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কাজ করে।
আজ মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাসেম বলেন, ছাত্রলীগের অনেক ঐতিহ্য, গৌরব, সংগ্রাম ও সাফল্য রয়েছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে সংগঠনটি। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এই ছাত্রলীগ।
সংগঠনটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় এক বর্ণাঢ্য র্যালি প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়। র্যালিটি বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে মিলিত হয়। পরে সেখানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেমের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক, প্রফেসর ড. ফাহিমা খানম, পরিকল্পনা ও কাজ উন্নয়ন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান, হিসাব শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো. শাহাদৎ হোসেন খান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. খালেদ হোসেন, আইআরটি এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তরিকুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ, ছাত্রনেতা ধনেশ চন্দ্র পাল, মোরশেদুল আলম রনি, শফিকুল ইসলাম সজল, ইলিয়াস দেওয়ান, রিয়াদ খান, সাজেদুর রহমান সৈকতসহ হল শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীবৃন্দ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ও হাজী মোহাম্মদ দানেশের ম্যুরাল স্থাপন করার দাবি জানানো হলে তা দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন উপাচার্য আবুল কাসেম।