২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:২০

চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ বশেমুরবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টার

  © টিডিসি ফটো

চিকিৎসকের অভাবে প্রায় একমাস ধরে বন্ধ রয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একমাত্র মেডিকেল সেন্টারটি। মেডিকেল সেন্টারের দুজন ডাক্তারই সম্প্রতি তাদের ইস্তফাপত্র জমা দেয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সাবেক একজন মেডিকেল অফিসারের তথ্যানুসারে, মেডিকেল সেন্টারটি থেকে প্রতিদিন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রায় ২০০ জন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসক না থাকায় এই বিপুল সংখ্যক সেবাগ্রহীতা চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।

ইতিহাস বিভাগের একজন শিক্ষার্থী জানান, সম্প্রতি তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেল সেন্টারে যান। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন।

এদিকে শুধুমাত্র চিকিৎসক সংকটই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র মেডিকেল সেন্টারটি দীর্ঘদিন ধরে স্থান, যন্ত্রপাতি, লোকবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। মেডিকেল সেন্টারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক কোনো ভবন নেই।

প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় দুটি ছোটে কক্ষে মেডিকেল সেন্টারটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী, ৩০০ শিক্ষক এবং ৬০০-এর অধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য দুই বেডের মেডিকেল সেন্টারটিতে মাত্র দুজন চিকিৎসক, একজন ব্রাদার এবং একজন নার্স রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মেডিকেল সেন্টারটিতে ডাক্তার থাকাকালীনও তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতেন না। যেকোনো অসুস্থতার কথা বললেই প্যারাসিটামল দেয়া হত এবং গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিতেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল সেন্টারের একজন কর্মচারী বলেন, ‘মূলত জনবল সংকট এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই মেডিকেল সেন্টারটির এই অবস্থা।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান জানান, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের দুজন ডাক্তারই গত নভেম্বরে অব্যাহতিপত্র জমা দেয়ায় সেন্টারটি চিকিৎসকশূণ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে আমার পক্ষে নতুন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া সম্ভব নয়। তবে আমি চেষ্টা করছি একজন ডাক্তারের সাথে স্বল্প সময়ের জন্য চুক্তি করতে, যাতে তিনি একটি নির্দিষ্ট সময় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।’