কুয়েটে ফুটবল খেলায় মারামারির ঘটনায় বহিষ্কার ৮
- কুয়েট প্রতিনিধ
- প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:১০ PM , আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:১৪ PM
ফুটবল খেলায় মারামারির ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কাসহ ২৭ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশনস অফিসার মনোজ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, এদের মধ্যে আট ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ছয় শিক্ষার্থীকে জরিমানা এবং ১৩ জনকে সতর্ক করা হয়েছে।
গত ১ নভেম্বর অমর একুশে হল ও ড. এম. এ রশীদ হলের মধ্যকার ফুটবল খেলার শেষ পর্যায়ে মাঠে এবং পরে ওই দুই হলের ছাত্রদের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২৭ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কার কী সাজা
ছয় টার্মের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন- অমর একুশে হলের মো. আল আরাফাত আবির, রাহাত আহম্মেদ ইমন, মো. শাহীন আলম।
চার টার্মের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন- ওই হলের কাজী আকিব জাভেদ, মো. তরিকুল ইসলাম।
দুই টার্মের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন- ওই হলের মো. রাশাদ রাফিদ অর্নব ও সুদীপ বিশ্বাস।
এক টার্মের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন- মো. নাসির উদ্দিন।
যাদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে- অমর একুশে হলের শোয়েব ইসলাম ও মো. ফয়সাল।
যাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে- ফজলুল হক হলের রাছিন জামান, আহসানুল আবেদিন (হৃদয়) ও সৈকত দে।
যাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে- অমর একুশে হলের মো. রেদওয়ানুল আমিন।
এছাড়া যাদের সতর্ক করা হয়েছে- অমর একুশে হলের তিলক বড়ুয়া, মো. তানভীর আহম্মেদ তনয়, ফজলুল হক হলের নুর মোহাম্মাদ নাহিদ, গোলাম রাব্বি সিয়াম, আমিনুল ইসলাম শিহাব, অনিকুর রহমান, মুহিব্বিন হোসেন সরদার মুন্না, মো. কাউসার, মো. শরিফুল ইসলাম, সলিম আবেদিন ফাহিম, তানভীর রহমান, ফাহিম ফয়সার অর্নব ও অমর একুশে হলের নাফসি আহমেদ। পরে কারো অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মনোজ কুমার জানান, তাদের সবাইকে ছাত্র প্রতিনিধিত্বমূলক কর্মকাণ্ডে না জড়ানোর শর্তও দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অমর একুশে হল ও ড. এম. এ রশীদ হলের মধ্যে ফুটবল খেলায় একটি পক্ষ রেফারি ও লাইন্সম্যানদের ধাক্কা দেয়। বিষয়টি অন্য হলের শিক্ষার্থীরা মোবাইলে ভিডিও করে। এ নিয়ে দুই হলের ছাত্ররা সংঘর্ষে জড়ায়। ওই বেশ কয়েকজন ঘটনায় আহত হয়।
পরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে কর্তৃপক্ষ ওইদিন রাতেই একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
এর তিন সপ্তাহ পর ২২ নভেম্বর আবার বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়। পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি এ ঘটনা তদন্ত করেছে।